শেরপুরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস যথাযথযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। শেরপুর
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সোমবার (৭ মার্চ) সকাল ১০টায় শেরপুর জেলা
প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
এঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে সোমবার সকালে জাতির
পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতিতে প্রথমে ফুলের তোড়া
দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা
মো. আতিউর রহমান আতিক এমপি।
পরে জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসান নাহিদ চৌধুরী,
শেরপুর ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার)
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, জেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) সাইয়েদ
এ.জেড মোরশেদ আলী, সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য, জেলা আওয়ামী লীগ
সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল পিপি, সদর উপজেলা নির্বাহী
অফিসার মেহনাজ ফেরদৌস, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম,
শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ¦ গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, বাংলাদেশ
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শেরপুর জেলা ইউনিট কমান্ড সাবেক কমান্ডার আ স ম নুরুল
ইসলাম হিরো, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট বীর মুক্তিযোদ্ধা
মোখলেছুর রহমান আকন্দ, শেরপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার এ.কে আজাদ,
বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত রায়, সদর থানার অফিসার
ইনচার্জ (ওসি) মনসুর আহাম্মদ, সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
শারমিন রহমান অমি, শেরপুর প্রেসক্লাব সভাপতি মো. শরিফুর রহমান, বাংলাদেশ
আওয়ামী যুবলীগ শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম,
স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মনির উদ্দিন আহম্মেদ, শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের
সভাপতি শোয়েব হাসান শাকিল ও সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম, মহিলা
আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, সরকারি, আধা-সরকারি,
স্বায়ত্বশাসিত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ জেলার বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও
পেশাজীবী সংগঠন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে এক বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে রজনীগন্ধ্যায় বিটিভিতে সরাসরি
কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিগণ।
এছাড়াও ঐতিহাসিক ৭ মার্চের আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠান, ৭ মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, সকল
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্ব-স্ব ব্যবস্থাপনায় সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি,
জেলার এন্ট্রি পয়েন্ট/ জিরো পয়েন্ট, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, সড়কদ্বীপ
সজ্জিতকরণ ও আলোকসজ্জা, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত
এবং বেসরকারি ভবন/স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জা করা হয়।