রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বাল্যবিয়ে, যানজট, দ্রব্য মূল্যে, অবৈধ টোল আদায়, আইন শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপ, সময় মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপস্থিতির পাশাপাশি মাদক দেশের জন্য বড় সমস্যার বিষয়ে আলোচনা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা। সভায় বক্তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ নয়, প্রতিবেশী দেশ উৎপাদন করা মাদক আমাদের দেশে প্রবেশ করে। ইয়াবার পর এখন আইস এলএসডি, ডিওবি নানা ধরনের মাদক এখন দেশে প্রবেশ করছে।
আয়োজিত সভায় মনিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদকের কারবার ও সেবন বন্ধ করতে না পারলে আগামী কয়েক বছর পর আমরা একটা অক্ষম জনগোষ্ঠী পাব। তাই মাদক বন্ধে কোনো বিকল্প নেই। মাদক দেশের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র আলাইপুর সীমান্ত ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার মানিক হোসেন বলেন, ফোর্সের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় অনেক সময় নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব হয় না। তাই সকলের সহয়োগিতা কামনা করছি।
বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল করিম বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের কোন ঘাটতি নেই। তবে তথ্য দিয়ে সহয়োগিতার প্রয়োজন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দনি লাভলু বলেন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়াও সভায় বিষয়ভিত্তিক যে সব আলোচনা হয়েছে, সেসব বিষয়ে নিজেদের সচেতন হতে হবে, অন্যদেরর সচেতন করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, দ্রব্যমূল্য কমিয়ে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই লক্ষে বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। সভায় আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ নছিম উদ্দীন, ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান, অধ্যক্ষ আবদুল হামিদ, বাঘা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল লতিফ মিঞা, ভাইস চেয়ারম্যান মোকাদ্দেস সরকার, রিজিয়া আজিজ সরকার, ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রনজু প্রমুখ।