লক্ষ্মীপুরে শিমু আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৬ মার্চ) ভোরে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা এলাকার হারিছ মাঝির বাড়ির গোয়ালঘর থেকে মরদেহটি ঝুলন্ত উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানান, এ ঘটনার পর থেকে শ্বশুর হারিছ মাঝি পলাতক রয়েছে। নিহতের স্বজনদের এ ঘটনায় মামলা করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় আট বছর আগে চরমনসা গ্রামের ওমান প্রবাসী আবুল বাশারের সঙ্গে পাশের কুশাখালী গ্রামের সিরাজ মিয়ার মেয়ে শিমুর বিয়ে হয়। তাদের সংসারে শাহাদাত হোসেন নামের ছয় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শিমুর সঙ্গে প্রায়ই শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদরা ঝগড়া করতেন।
নিহত শিমুর মা বকুল বেগম জানান, মঙ্গলবার রাতেও তার মেয়েকে শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের অন্যরাও গালমন্দ করে। শিমুকে তার শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদরা হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে গোয়ালঘরে ঝুলিয়ে রাখে। শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এখন আত্মহত্যা বলে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মেয়েকে হত্যার ঘটনায় বিচার দাবী করেছেন তিনি।
অপরদিকে শিমুর ছোট ননদ সাবনুর আক্তার জানান,তাদের সঙ্গে কোনো ঝগড়া হয়নি। রাতে একসঙ্গে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যান তার ভাবী। ফজরের নামাজের সময় উঠে তার ভাবির ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। পরে তার পরিবারকে বিষয়টি জানান তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আমিন মাঝি জানান,ওই পরিবারে পূর্ব থেকেই কলহ চলে আসছে। একাধিক বার তিনি তাদের সালিশও করেছেন। মৃতদেহের বিষয়টি তার সন্ধেহ মনে হচ্ছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন,সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা এলাকার হারিছ মাঝির বাড়ির গোয়ালঘর থেকে এক গৃহবধুল মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় বিকাল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত মামলা হয়নাই। তবে এ ঘটনার পর থেকে শ্বশুর হারিছ মাঝি পলাতক রয়েছে।