জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও জাতীয় শিশু দিবসের দিন ১৭ মার্চ ২৮ জন সেলাই প্রশিক্ষণার্থীদের উপর ২টি মাত্র প্লেট চুরির অভিযোগ তুলে পবিত্র কোরআন শরীফ হাতে দিয়ে কসম খাওয়ার নির্দেশ দেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মচারী মোসাঃ আঞ্জু আরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, সেলাই প্রশিক্ষণার্থীরা কেঁদে কেঁদে অভিযোগ করে বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও জাতীয় শিশু দিবস পালনের জন্য এসে বেলা ১২ টার দিকে বাড়ী রওনা দিই। বাড়ী পৌছার পূর্বে রাস্তায় থাকা অবস্থায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মচারী মোসাঃ আঞ্জু আরা ফোন করে বলেন, দুটি প্লেট চুরি হয়েছে অফিসে আসেন। অফিসে গেলে তিনি বলেন, দুটি প্লেট হারিয়ে গেছে কে চুরি করেছেন বলে কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে কসম করার নির্দেশ দেন। তাঁর কথা মত মানসম্মানের ভয়ে ওযু করে কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে কসম করতে বাধ্য করান। সেলাই প্রশিক্ষণার্থীরা কেঁদে কেঁদে বলেন, আমরা অসহায় দরিদ্র নারীরা প্রশিক্ষণ নিতে এসেছি। কিন্তু আমাদেরোও মানসম্মান আছে। দুটি মাত্র প্লেট চুরির অপবাদে পবিত্র কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে কসম খাওয়ানোটা আমাদের অনেক বড় অপমান করেছেন বলে কাঁদতে থাকেন।
এঘটনায় কর্মচারী মোসাঃ আঞ্জু আরা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্লেট চুরির সত্যতা স্বীকার করেন। তবে কোরআন শরীফের কসম খাওয়ানোর ঘটনা অস্বীকার করে প্রশিক্ষক মোসাঃ মদিনাকে ফোন ধরিয়ে দেন। মদিনা কোরান শরীফ নিয়ে কসম করার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং এটি ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি সমাধান হয়েছে প্লেট কেনার পর। উল্লেখ্য এ কর্মচারী প্রায় সময় প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।