মালিক সমিতির দ্বন্দের কারণে দীর্ঘ এক বছর ধরে যশোর-চুয়াডাঙ্গা ভায়া জীবননগর-ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।চুয়াডাঙ্গা মিনিবাস মালিক সমিতির শাপলা বাস নিয়মিত চুয়াডাঙ্গা থেকে সরাসরি যশোর পর্যন্ত চলাচল করে থাকে। অপরদিকে কালীগঞ্জ ও যশোর মালিক সমিতির বাস যশোর থেকে ছেড়ে এসে চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত চলাচল করে। উভয়পক্ষের মালিক সমিতির ভেতরে দ্বন্দ তৈরি হওয়ায় যশোর ও কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির বাস হাসাদাহ পর্যন্ত চলাচল করছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৬ সাল থেকে কালীগঞ্জ-আলমডাঙ্গা রুটে ২৬টি টিপে কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির বাস চলাচল করত, কিন্তু চুয়াডাঙ্গা মিনিবাস মালিক সমিতির কর্মকর্তারা কোনো কারণ ছাড়া জোরপূর্বক টিপ গুলো দখল করে নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন। যার কারণে কালীগঞ্জ মিনিবাস মালিকদের চরম লোকসান গুনতে হচ্ছে।এ ব্যাপারে দর্শনা হতে যশোরগামী যাত্রী মিলন হোসেন বলেন, তিনি প্রতি সপ্তাহে কাজের জন্য যশোর যান, কিন্তু সরাসরি বাস বন্ধ থাকায় তার সময় বেশি অপচয় হচ্ছে এবং যাত্রা খরচও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে অফিসগামী যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।খালিশপুর থেকে দর্শনাগামী অফিস যাত্রী শাহিদ হোসেন বলেন, তিনি প্রতিদিন খালিশপুর থেকে দর্শনা যান অফিস করতে, সরাসরি বাস না থাকায় প্রায় পড়তে হচ্ছে ভোগান্তির মুখে।শাপলা পরিবহনের এক চালক জানান, যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ দুর্ভোগ তাদের কাছে অসহনীয় হয়ে উঠছে। কিন্তু মালিক সমিতির সিদ্ধান্তের কাছে জিম্মি যানবাহনের স্টাফসহ যাত্রীরা। তারা দ্রুত এ সমস্যার প্রতিকার চান।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দীন বলেন, চুয়াডাঙ্গা মালিক সমিতির কর্মকর্তাদের মৌখিক ভাবে বলা হয়েছে বিষয়টি সমাধান করার জন্য কিন্তু তারা কোনো আমলে নিচ্ছেন না।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা-যশোর ভায়া জীবননগর রুটে চুয়াডাঙ্গা থেকে ৪০টি বাস চলাচল করে। এর মধ্যে খুলনা রুটের বাসও রয়েছে। ২০১৩ সালে একই রুটে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে কালিগঞ্জ মোটর মালিক সমিতির বাধার মুখে ২০ মাস ১১ দিন সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ ছিল। ওই সময়েও হাসাদহ পর্যন্ত বাস চলাচল করত।