হাইমচর উপজেলার ১ নং গাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাইমচর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। অপর দিকে ৪০ কেজির পরিবর্তে ৩০ কেজি চাউল দেয়ার প্রতিবাদ করায় সোহেল মাঝির উপর হামলা করা হয়েছে বলে জানান, সোহেল মাঝির পরিবারের লোকজন।
জনাযায়, ১৮ মার্চ শুক্রবার বেলা ১১ টায় গাজিপুর ইউনিয়নে জাটকা রক্ষা কর্মসূচির আওতায়
জেলেদের মাঝে সরকারের দেয়া চাউল বিতরণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজি। এ সময় চাউল নেয়ার জন্য অটো নিয়ে আসেন জেলে আহসান গাজী। অটোর ড্রাইভার হাসেম সরদার অটোটি পরিষদের সামনে রাখায় অন্য আরেক অটো ড্রাইভারের সাথে কথা কাটাকাটি হলে চেয়ারম্যানের ছেলে আবু তাহের গাজি ড্রাইভারকে মারধোর করেন। ড্রাইভারের সাথে থাকা সোহেল মাঝি প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যানের ছেলেরাসহ পরিষদের লোকজন তাকে মারধর করে। পরে সোহেল মাঝির পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে পরিষদে আসলে চেয়ারম্যান হাবু গাজিসহ তার ছেলেরা তাদের উপর হামলা করলে উভয় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজির ৪ ছেলে সহ ১০ জন আহত হন। আহতরা সবাই হাইমচর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। প্রতিবাদকারি সোহেল মাঝির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। সংবাদ পেয়ে হাইমচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
গুরুতর আহত সোহেল মাঝির ভাতিজা ছিদ্দিক মাঝি জানান, সোহেল মাঝি তার আত্মীয় এক জেলের সাথে পরিষদে গিয়েছিলেন। সেখানে ৪০ কেজি চাউলের পরিবর্তে ৩০ কেজি চাউল দেয়ায় সোহেল তার প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যানের চেলেরা তার উপর হামলা চালায়। চেয়ারম্যানের লোকজনের হামলায় সোহেল মাঝি গুরুতর আহত হন। সোহেল মাঝি চাঁদপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজি পরিষদের আসবপত্র ভেঙ্গে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য তিনি প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।
অটো ড্রাইভার হাসেম সরদার জানান, পরিষদের সামনে অটো রাখলে অন্য আরেক অটো ড্রাইভার আমার সাথে কথা কাটাকাটি করলে চেয়ারম্যানের ছেলে আমাকে মারধোর করতে থাকে। আমার সাথে থাকা সোহেল মাঝি প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যানের চেলেরা তাকে বিতরে নিয়ে নির্যাতন করে। পরে সোহেলের পরিবার ঘটনাটি জানতে পেরে পরিষদে আসার সাথে সাথে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজিসহ তার ছেলেরা আমাদের উপর হামলা চালায়।
ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান গাজির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাউল দেয়া অবস্থায় পরিষদে এসে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। আর এ হামলার মদদ দিয়েছে শত্রুপক্ষ শাহজাহান পেদা।তার বাড়ি থেকে লাঠিসোটা নিয়ে আলগীর লোকজন পরিষদের সামনে হামলা করে।বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রশিদ জানান, গাজিপুর ইউনিয়নে চাউল দেয়ার সময় সংঘর্ষের সংবাদ পেয়েছি। ঐ সময় আমি নদীতে অভিযানে ছিলাম।
হাইমচর থানা এ এস আই প্রাণ কৃষ্ণ জানান, ১ নং গাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। তিনি জানান, অটো রাখাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি বড় আকারে রুপ নিয়েছে।