খুলনার পাইকগাছায় সুখেন্দ্র নাথ সরদার ওরফে সুখেন (৪০) হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন হচ্ছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। জমি, মাদক ও নারী সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে পুলিশ প্রযুক্তিগত তদন্তে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে জিজ্ঞাবাদও করা হয়েছে। উল্লেখ্য গত ৭ মার্চ রাত ১০টার দিকে উপজেলার লস্কর ইউপির খড়িয়া ভড়েঙ্গার বাড়ী অদুরে নিহতের নিজ চিংড়ি ঘেরের বাসার কাছে পৌঁছালে ঘাতক তার মাথায় আঘাত করে বুকে-পিঠে উপুর্যপুরী চুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। নিহত সুখেন মৃত গোষ্ট বিহারী সরদারের ছোট ছেলে। ওই রাতে কে বা কারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুক, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে ঘেরের পানিতে ফেলে দেয়। নিহতের লাশ দেখে ধারণা করা হয় একাধিক ব্যাক্তি তার হাত পা চেপে ধরে মাটিতে ফেলে ছুরি দিয়ে বুকসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। পাশর্^বর্তীতে কয়েকজন ব্যাক্তি পাশের গ্রামে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় রাস্তায় রক্ত দেখে পাশে লাইট মেরে ঘেরের মধ্যে পানিতে সুখেনকে দেখতে পায়। গ্রামবাসি পানি থেকে উদ্ধার করে রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে থানায় হত্যা মামলা করেন। হত্যাকান্ডের পর স্থানীয়রা এক ধরনের আতঙ্কে ছিল। হত্যাকান্ড সম্পর্কে নিহতের পরিবার বা স্থানীয়রা সঠিক কোনো তথ্য দিতে না পারায় পুলিশের উপর নির্ভরতা বেড়ে যায়। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, মমলা তদন্তে যথেষ্ঠ অগ্রগতি হয়েছে। দ্রুত সময়ে সবকিছু পরিস্কার হবে। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি।