রাজশাহী মহানগরীর নিউমার্কেট গেটের সামনের ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে নিহত স্যান্ডেল ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলামের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে নিহতের লাশ নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুর আড়াইটায় নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ মিছিল শেষে নিউ মার্কেটের মেইন গেটের সামনে এ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। মানববন্ধন থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রানা, রনি ও নাঈমসহ সকলের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহানগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন ষষ্ঠিতলা এলাকার সাঈদ শেখের বড় ছেলে রানা শেখ তাঁতী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতো। আর অভিযুক্ত সাঈদ শেখের ছোট ছেলে রনি শেখ ছাত্রদলের নামধারী ক্যাডার। এছাড়াও অভিযুক্ত নাঈম নিউ মার্কেটের ফুটপাত থেকে রানা ও রনির পক্ষে চাঁদা তোলে। আর এই আধিপত্য বিস্তার নিয়েই সোমবার (২১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে নিউমার্কেটের ফুটপাতে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে স্যান্ডেল ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলাম (২৩) খুন হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন নিহত রিয়াজুলের ভাই রিংকু (২০)। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আর এ ঘটনায় সোমবার রাতেই নিহতের বাবা মধু মিয়া বাদী হয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামাসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে হত্যাকান্ডের পর পরই অভিযুক্তদের মধ্যে থাকা নাইমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস মঙ্গলবার দুপুরে জানান, নিউমার্কেটের সামনের ফুটপাতে দীর্ঘদিন ধরে স্যান্ডেলের দোকান করে ব্যবসা করতেন রিয়াজুল ও তার ভাই রিংকু। সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় রনি ও নাঈম নামের দুই যুবক নিজের তাঁতি লীগের কর্মী পরিচয় দিয়ে রিয়াজুলকে স্যান্ডের দোকান তুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সেসময় পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। এরপর রাত আনুমানিক ৯টার দিকে রনি ও নাঈম তাদের দলবল নিয়ে অতর্কিতভাবে রিয়াজুলের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় রিংকু এগিয়ে আসলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রিয়াজুলকে মৃত ঘোষণা করেন। আর রিংকুকে হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।