যশোরের ঝিকরগাছায় শুক্রবার সকালে স্থানীয় কৃষকেরা বামনআলী গ্রামের ফকিরটিকের মাঠে ঘাস ক্ষেতে সুমাইয়া আক্তার (২৮) নামের এক সন্তানের মায়ের গলাকাটা লাশ পাওয়া গিয়েছে। তার শাহরিয়ার নামের ৭ বছরের এক ছেলে রয়েছে। পুলিশের ধারণা পরকিয়া প্রেমের কারণেই এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হতে পারে।
সন্ধ্যায় থানায় দারোগা তারেক নাহিয়ান জানান, হত্যার শিকার সুমাইয়া আক্তার যশোরের শার্শা উপজেলার দক্ষিণ বুরুজবাগানের রেজাউল ইসলামের মেয়ে। ১ মাস আগে সুমাইয়া আক্তার তার স্বামীর চাকরীস্থল চুয়াডাঙ্গা থেকে বাপের বাড়ি বেড়াতে আসেন। তার স্বামী আইয়ুব হোসেন সেখানে আকিজ কোম্পানিতে চাকরী করছেন।
নিহতের পিতা রেজাউল ইসলাম জানান, আমার মেয়ের সাথে ঝিকরগাছা সদরের কাউরিয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী বাপ্পির সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। তিনি আরও বলেন - ১ মাস আগে জামাইয়ের বাড়ি থেকে এসে যশোর সদরের খোলাডাঙ্গা ৩ খাম্বার মোড়ে কামরুজ্জামানের বাড়িতে পরকিয়া প্রেমিক বাপ্পির সাথে আমার মেয়ে স্বামী - স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকেন। খবর পেয়ে ১৭ মার্চ কোতোয়ালি থানা থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি)র মাধ্যমে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে বাপ্পির সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে বের হলে শুক্রবার সকালে তার লাশের খবর পাই। নিহতের পিতা মামলার বাদী হবেন বলে জানিয়েছেন।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল সংস্থা আসামি ধরার জন্য মাঠে রয়েছে।