খুলনার পাইকগাছায় মাদক মামলায় ফাঁসনো যুবক জামিনে মুক্ত হয়েছে। রোববার পাইকগাছায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে জামিন মঞ্জুর করেন। মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারীরা প্রথমে যুবককে মারপিট করে পরে পকেটে গাঁজা দিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট সোপর্দ করে। ঘটনাটি উপজেলার চাঁদখালী ২২মার্চ সকালে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান যুবককে পুলিশে সোপর্দ করেন। থানায় মাদক আইনে মামলা হয়। মামলা নং ১৭, ২২.০৩.২২। মামলায় উল্লেখ উপজেলার চাঁদকালী মাছের কাটায় গাঁজা ক্রয়বিক্রয় করাকালীন সময় স্থানীয় লোকজন গাঁজাসহ ওই ব্যক্তিকে আটক করিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আনিয়া রাখে। পরে জনগণকর্তৃক আটক ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্র্দ করে। অথচ ১৯ মার্চ এই যুবক মাদক কারবারী, ভূমিদস্যু সহ অবৈধ চুল্লি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। গাঁজা দিয়ে যুবককে ফাঁসানো গঠনায় এলাকার শত শত মানুষ লিখিত ভাবে নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শী নান্টু সরদার বলেন কৃষকলীগ চাঁদখালী ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান গত মঙ্গলবার সকালে মসজিদের চা এর দোকান ঘরে বসে গল্প করছিল। এমন সময় কালীদাশপুর গ্রামের কুদ্দুস গাজীর পুত্র মহিদ গাজী মশিয়ারকে ডেকে মাছকাটা মার্কেটের পাশে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে জব্বার শেখের পুত্র শাহাজাদা, সবুর সরদারের পুত্র হাবিবুর, কাদেরের পুত্র রায়হান, কিনুর পুত্র শুকুর তাকে বেদম মারপিট করে আহত করে। স্থানীয় আবদুস সাত্তার বলেন ঐ গ্যাং মশিউর রহমানকে মারপিট করে পার্শ্ববর্তী আজিজের চা এর দোকানে নিয়ে বেধে তাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। পরে শুনতে পায় মশিউর রহমানকে ৩৫ গ্রাম গাজা সহ পুলিশে সোপর্দ করেছে। মশিউর মাদকের বিরুদ্ধে ও সুন্দর বনের কাঠ পুড়ানো চুল্লির বিরুদ্ধে স্টাটাস দিয়েছিল এটা তার অপরাধ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মুনছুর আলী গাজী বলেন, মাদকসহ অবৈধ চুল্লি বিরুদ্ধে লেখালেখি করায় এলাকার চিহ্নিত ফেনসিডিল, গাঁজা বিক্রিতারা মশিউরকে বেধম মারপিট করে গাঁজা দিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুলিশকে সোপর্দ করছে। ওই সকল মাদক বিক্রিতাদের বিরুদ্ধে থানায় মাদক আইনে একাধিক মামলাও রয়েছে। যুবককে মারপিটকারীরা বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের ছত্রছায়ায় এ অপকর্ম করছে বলে এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন। তারা আরো বলেন, যারা মানবাধিকারকর্মী মশিউরকে মাদকের সহিত জড়িত বানাচ্ছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা আবু ইলিয়াস বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।