বেনাপোল বন্দরে হ্যান্ডলিং শ্রমিদের কাজ দখলে নিতে সন্ত্রাসীদের মুহুমুহু হামলার ঘটনায় ৩৬ জনকে আসামি করে আজ মংগলবার সকালে ৩ টি মামলা হয়েছে বেনাপোল পোর্ট থানায়। উদ্ধার করা হয়েছে বোমা,পিস্তল ও গুলি।
সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পুলিশী আশ^াসে বন্দর শ্রমিকরা আজ সকাল থেকে কাজে যোগদান করেন। ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে আমদানি রপ্তানি বানিজ্য। বন্দরে মালামাল লোড-আনলোড ও পন্য খালাশ চলছে। সকাল থেকে এ পর্যন্ত ২৩৮ ট্রাক মালামাল আমদানি ও ৮৯ ট্রাক মালামাল রফতানি হয়েছে ভারতে।
গতরাতে এলাকায় বিভিণœ স্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য সোমবার সকাল ১১ টার দিকে বেনাপোল বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়ন দখলকে কেন্দ্র করে বহিরাগত একদল সন্ত্রাসী বন্দরের সামনে অর্ধশতাধিক বোমা হামলা চালায়। বোমার আঘাতে ১ জন পুলিশসহ ২০ জন শ্রমিক আহত হয়।
৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ জানান, বর্তমানে বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা মালামাল লোড আনলোড ও পন্য খালাশ করছে দ্রুত। পৌর কাউন্সিলর রাশেদ বাহিণীর প্রধান রাশেদ বন্দর দখল করার জন্য ভারাটে গুন্ডা এনে বন্দরে অস্থিতিশলী পরিবেশ সৃস্টি করেছে। গতকাল সারাদিন বন্দরে লোড-আনলোড ও আমদানি-রফতানি বানিজ্য বন্ধ ছিল।
বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর আ: জলিল জানান, বন্দরে বর্তমানে আড়াই হাজার শ্রমিক কাজ করছে। বন্দরকে অশান্ত করতে রাশেদ বাহিনী বোমা হামলা চালিয়ে বন্দরের পরিবেশ নস্ট করার চেস্টা করছে। বর্তমানে বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্মা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া জানান, গতকাল বন্দরে মুহুমুহু বোমা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় কাউন্সিলন রাশেদকে প্রধান আসামি করে থানায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৩টি মামলা করা হয়েছে। ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাশেদের ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার থেকে ৪টি বোমা, ১টি পি¯তল, ১টি ম্যাগাজিন সহ ৫ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।
তবে নতুন করে সংঘর্ষের আশংকায় বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।