সরকারি সফটওয়্যারে পাবলিক অ্যাকসেস থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, আমাদের অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে এগুলো প্রসেসিং ও ব্যবস্থাপনা হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে পাবলিকের টাকায়। তাই সরকারি সফটওয়্যারে পাবলিক অ্যাকসেস থাকতে হবে। গতকাল রোববার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘দ্য সফটওয়্যার অব প্রজেক্ট প্রসেসিং অ্যাপরাইজাল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অ্যান্ড রিসার্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, পাবলিক অ্যাকসেস সব জায়গায় থাকতে হবে। ‘এসো না দূরে দূরে থাকো’ এই নীতি থেকে বের হতে হবে। পাবলিক যেন এর অ্যাক্সেস পায়। হাওর ও তিস্তার চরের মানুষও যেন এগুলোর অ্যাকসেস পায়। তবে সরকারের নিজস্ব নীতি আছে। তারপরও এসো না দূরে দূরে থাকো এটা বাদ দিতে হবে। এম এ মান্নান বলেন, আমরা মহৎ কাজের দিকে যাচ্ছি। সারা বিশ্বের সঙ্গে আমরা তাল মিলিয়ে চলছি, আমরা একই বৃত্তের মানুষ। আজ একটি সফটওয়্যার উদ্বোধন করলাম। এটা সবার কাজে দেবে। সবাইকে এক হয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বেশি। তারা সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনেক কিছু করে থাকে। তবে সফটওয়্যার যেন হ্যাক না হয় ও এটাকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত না করে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ডিজিটাল দেশ হিসেবে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। ডিজিটালাইজেশন চমৎকারভাবে সময় ও খরচ বাঁচায়। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আমাদের সবাইকে নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হয়েছে। শিক্ষাবিদ, গবেষক, শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়েছে। অনলাইনে মিটিংয়ে প্রায় ২৬০০ মানুষ অংশ নিয়েছিল। আমি ভাবি এগুলো অতীতে কীভাবে হতো। তিনি বলেন, এনইসি সম্মেলন সবাইকে ডেকে এনে আবার তাদের আশা যাওয়ার খরচ ও সম্মানী সব মিলিয়ে অনেক ব্যয় হতো। কিন্তু সেই ব্যয় কমেছে অনলাইন বা জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে। গাড়ির তেল পোড়ানো খরচও বাঁচিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া সময় সংক্ষেপণ দ্রুত কাজ করা- সবই সম্ভব হয়েছে অনলাইনে মিটিংয়ের মাধ্যমে। ডিজিটালাইজেশন আমাদের কাছে বিস্ময়কর অগ্রগতি মনে হয়। আসা যাওয়ার জন্য কত রকম নিরাপত্তা আছে সবই বাঁচিয়ে দিয়েছে অনলাইন ডিজিটালাইজেশন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী প্রমুখ।