পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়ীয়া এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়-য়া দুই মুসলিম স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম-নৈশ প্রহরি বিপ্লব মিস্ত্রীকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ওই দুই ছাত্রী বিদ্যালয়ের দোতালার প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের কক্ষে যোহরের নামাজ আদায় করতে গেলে, দপ্তরী-কাম-নৈশ প্রহরি বিপ্লব মিস্ত্রী তাদের জোর পূর্বক শ্লিলতাহানী করে। এ সময় ওই কক্ষের কাছাকাছি কোন শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা ছিল না। পরে ওই দুই স্কুল ছাত্রী বাড়ীতে গিয়ে তাদের অভিভাবকদের ঘটনাটি জানায়। অভিভাবকগণ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে, প্রধান শিক্ষক বরুণ কুমার মিত্র তাৎক্ষনিকভাবে অভিযুক্ত দপ্তরীকে ডেকে চর থাপ্পর মেরে বিচার করে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। ঘটনাটি এলাকায় জানা জানি হলে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী (বৃহসপতিবার দুপুরে) বিদ্যালয়টি অবরোধ করে রাখে এবং ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ভাণ্ডারিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দপ্তরী বিপ্লব মিস্ত্রীকে আটক করে থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এ ঘটানায় মামালা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
প্রধান শিক্ষক বরুণ কুমার মিত্র জানান, শুনেছি দপ্তরী বিপ্লব, মেয়ে দুটির একটু হাত ধরেছিল এ সময় তিনি বিদ্যালয়ে ছিলেননা। তিনি একটি সভায় যোগদান করতে বিদ্যালয়ের বাইরে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র।
অত্র ক্লাস্টারের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার হিমাদ্রী শেখর দেবনাথ জানান, প্রধান শিক্ষক কিছু সময় আগে বিষয়টি তাকে অবহিত করেছে। বিষয়টি খুবই স্পর্শ কাতর, প্রধান শিক্ষক এটা কোনভাবে মিমাংসা করতে পারেন না।
এ ব্যপারে ভাণ্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুমুর রহমান বিশ্বাস জানান, শ্লীলতাহানীর অভিযোগে দপ্তরী বিপ্লব মিস্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।