বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচার হাতে মানিক শাহ (৪০) নামের এক ভাতিজার প্রাণ গেছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের নাগরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মানিক শাহ ওই গ্রামের ময়েন শাহ’র ছেলে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাজিনার গাছ লাগানোকে কেন্দ্র করে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এদিন সন্ধ্যায় মানিক শাহ্ তার বাড়ীর সীমানায় সাজিনার গাছ লাগাতে যায়। এ সময় চাচা জাহাঙ্গীর শাহ্ তাকে বাধা দেয়। কিন্তু তিনি কোন কথা না শুনেই গাছ লাগাতে চাইলে এনিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক শুরু হয়। পরে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে জাহাঙ্গীর শাহ ও তার ছেলে রুহুল আমিন তার বুকে কিল-ঘুষিসহ মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। এতে করে মানিক শাহ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
নন্দীগ্রাম কুমিড়া পন্ডিতপুকুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর আসামিরা পালিয়ে রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।