অবশেষে ভিটেমাটিহীন স্বামী পরিত্যক্তা খাদিজা বেগমের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। খাদিজার জন্য দুই কক্ষ বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন একটি ঘর নির্মিত হয়েছে। যা রোববার সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
খাদিজা বেগম জেলার গৌরনদী উপজেলার গেরাকুল গ্রামের মৃত আদম আলী বেপারীর মেয়ে। খাদিজার একমাত্র দিনমজুর ভাইয়ের বসত ঘরের পাশে দান করা একটুকরো জমিতে দৃষ্টিনন্দন এ ঘরটি নির্মান করা হয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার গৃহহীন থাকবে না একটি পরিবার’। শ্লোগানকে সামনে রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের উদ্যোগে সারাদেশের ন্যায় গৌরনদীর গেরাকুল গ্রামের খাদিজা বেগম পেয়েছেন দৃষ্টিনন্দন একটি ঘর।
জানা গেছে, একমাত্র শিশু সন্তানসহ প্রায় ৩২ বছর পূর্বে স্বামী পরিত্যক্তা খাদিজা বেগম তার অসহায় দিনমজুর ভাইয়ের শেষ সম্ভল একটুকরো জমির ওপর নির্মিত ঝুপরি ঘরে বসবাস করে আসছিলেন। একমাত্র পুত্রের মুখের দিকে তাকিয়ে জীবনে আর বিয়ের পিড়িতে না বসে খাদিজা বেগম বাজারের বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরায় পানি টেনে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। খাদিজা ও তার রিসকাচালক ছেলে কোনদিন নিজেরা পাকা ভবন নির্মান করবেন তা স্বপ্নেও ভাবেননি। তাদের সেই দুঃস্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হয়েছে।
সূত্রমতে, গৃহহীনদের গৃহ প্রদানের জন্য (জমি আছে ঘর নাই) গৌরনদী মডেল থানা পুলিশ পাঁচজনের নামের তালিকা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পাঠায়। সেই তালিকা থেকে খাদিজা বেগমের নাম চূড়ান্ত তালিকায় আসার পর থানার ওসি আফজাল হোসেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দৃষ্টি নন্দন বাড়িটি নির্মান কাজ সম্পন্ন করা হয়।
একদিকে সরকারী ঘর পাচ্ছেন, অন্যদিকে আজ (রোববার ) প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন এ খুশীতে শনিবার সকালে ব্যাকুল হয়ে পরেন খাদিজা বেগম। অনেকটা অশ্রু স্বজল নয়নে তিনি বলেন, বৃষ্টি ও ঝড়ের সময় ভাইয়ের ঝুপরি ঘরে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন থেকে আর কষ্ট করতে হবেনা। বাংলাদেশ পুলিশের সহযোগীতায় আজ আমি প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে অনেক খুশী। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর কর্মকর্তাসহ সকল সদস্যদের জন্য দুইহাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করছি।