মেঘনা নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় জেলে ও নৌ পুুিলশের মধ্যে সংর্ঘষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আমীর হোসেন নামের এক জেলে (২৮) নিহত হয়েছে। ঘটনার পর ১০ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। রোববার ভোররাতে সদর উপজেলার মজু চৌধুরীর হাট এলাকার মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আমীর হোসেন ভোলা সদরের কুতুবপুরা মতলবের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চত করেছেন নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক কামাল হোসনে এবং চাঁদপুর অঞ্চলরে পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান।
নিহত জেলের বড় ভাই শাহবুদ্দিন জানান,তার ছোট ভাই আমির হোসেন সংসারের অভাব অনটনে নদীতে মাছধরতে গিয়েছিলো। নদীতে মাছধরা অবস্থায় নৌ-পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে পালানোর সময় নৌ-পুলিশ তাদেরকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। পরে তার ভাই সহ কয়েকজন গুলিতে আহত হয়। গুলবিদ্ধ অবস্থার তার ভাইকে ঢাকা মডিকেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তিনি মারা যায়।তার ভাইযের সংসারে রয়েছে এক প্রতিবন্ধী ছেলে, স্ত্রী ও মা-বাবা।
এদিকে লক্ষ্মীপুর মজু চৌধুরীর হাট নৌ পুলিশ ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান,জাটকা সংরক্ষণে মেঘনা দুই মাস মাছ ধরা বন্ধরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে শনিবার দিবাগত রাতে নৌ পুলিশ নদীতে অভিযানে নামেন। ভোররাতে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ৫-৬টি মাছ ধরার নৌকা নিয়ে ৫০-৬০ জন জেলে দেরকে ঘেরাও করে। পরে পুলিশের ওপর অর্তকতি হামলা চালায়।
এ সময় জেলেরা জালের কাঠি নিক্ষেপ করে পুলিশের ওপর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এতে আমীর হোসেন নামে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। এ ঘটনায় আহত হন পুলিশ সদস্য জহিরুল ইসলাম, মহসীন, আনোয়ার, মোবারক ও পুলিশের স্পীড বোর্ডের চালকসহ ৫ জন। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
খবর পেয়ে চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) কামরুজ্জামান রোববার দুপুর ১২ টায় লক্ষ্মীপুরে ছুটে আসেন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান,নিহত জেলের নাম আমীর হোসেন। তিনি ভোলা সদরের কুতুবপুরা মতলবের ছেলে। গুলবিদ্ধ হওয়ার পরে তাকে ঢাকা মডিকেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যায়। এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় ১০ জেলেকে আটক করেছে পুলিশ। আককৃত জেলেরা হলেন মনির চকিদার,মোসলে উদ্দিন,জাহাঙ্গীর,সাইদুল ইসলাম,সবুজ রাড়ী,জহিরুল ইসলাম,মোকতার,ইমরানসহ ১০ জন।
সদর থানার ওসি জসীম উদ্দীন জানান,নদীতে নৌ পুুিলশের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হয়েছে। আটকৃত ১০ জেলেকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।