খাদ্যশস্য ভান্ডার বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে যে দিকে দুচোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। এ সবুজ সমারোহের মাঝে মৃদু বাতাসে দুলছে সোনালি ফসল।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সবুজ মাঠগুলোর সোনালি ধানের শীষ কৃষকের কাছে খুশির বার্তা নিয়ে এসেছে। মৃদু বাতাসে মাঠজুড়ে দোল খাওয়া ধানের শীষ দেখে জুড়িয়ে যাচ্ছে প্রাণ। মাঠের প্রতিটি গাছ থেকে ধানের শীষ বেরিয়ে আসায় মনে হচ্ছে যেন সবুজের গালিচায় লেগেছে সোনার মোহর। সবুজের এ গালিচায় সোনার মোহর দেখে কৃষকদের বুক আনন্দে ভরে উঠেছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে সঠিক সময়ে সেচ প্রদান, অনুকূল আবহাওয়া, পাচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করায় রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমণ নেই। তাই এবারও ইরি-বোরো ধান বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এরইমধ্যে ধান গাছগুলোতে শীষ এসেছে। অক্লান্ত পরিশ্রমের পর গাছে সোনালি ফসল দেখা দেওয়ায় কৃষকরা বুক ভরা আনন্দ নিয়ে হাসছে, আশার বুক বাঁধছে।
কালিকাপুর গ্রাামের কৃষক হযরত আলী বলেন, নেই পোকার আক্রমণ ও রোগ-বালাইয়ের দেখা। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবারো বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আদনান বাবু জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে নন্দীগ্রাম একটি পৌরসভাসহ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ১৯ হাজার ৫৪৬ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভালো ফলনের জন্য চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়তই কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কৃষকরা মাঠের ফসল বাড়িতে না ওঠানো পর্যন্ত কৃষি বিভাগের লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাবেন। মাঠে যে পরিমাণ ধানের শীষ দেখা দিয়েছে অনুকূল আবহাওয়া থাকলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।