ভারত ও বাংলাদেশের দুই দেশের পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষজনের চাপে রয়েছে বন্যহাতির দল। খাদ্যাভাবের ফলে পাহাড়ী অঞ্চলের সমতল ভূমিতে রাতের আঁধারে প্রায়শই কৃষকের আবাদকৃত বোরো ফসলের মাঠে হানা দিচ্ছে তারা। রাতের আঁধারে ফসলের মাঠে নেমে পায়ে পায়ে মাড়িয়ে, পিষে খেয়ে তান্ডব চালিয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে বন্যহাতির দল।
এলাকাবাসীর সূত্রে, গত শনিবার ৯ এপ্রিল মধ্য রাতে ভারত অংশের জঙ্গল থেকে বাংলাদেশ অংশের পানিহাটা, ফেকামারীর পাহাড়ী গ্রামগুলির সমতলে বোরো ধানের ক্ষেতে নামে ২৫-২৬টির মতো একদল বন্যহাতি দল। এদিকে রাতের আঁধারে ভারতের প্রায় ৭/৮জন মানুষ ও বাংলাদেশের সীমানার প্রায় ৬০/৭০জন মানুষ বন্যহাতি তাড়াতে অংশ নেয়। এ সময় পানিহাটা এলাকার কৃষক হিলসন ডিও এর ১ একর, জয়নাল আবেদিন এর এর-১একর, মোতালেব ৫০ শতাংশ ও হযরত ৫০ শতাংশ জমির বোরো ধানক্ষেত পায়ে মাড়িয়ে, খেয়ে বিনষ্ট করে।
এলাকাবাসী বিজারকুবি, হিলসন ডিও, যোসেফ মারাক, বার্নাড মারাক, মোতালেব ও হযরতসহ অন্যান্য কৃষকরা বলেন, হাতির এমন উৎপাতে স্থানীয়রা নিয়মিত পাহাড়ায় আছে।"হাতি তাড়াতে একটি মাত্র জগ লাইট আছে, আরো কিছু জগ লাইট হলে আরো ভালো হতো এবং কেরোসিন তেল দিয়ে আগুন জালিয়ে রাখালেও হাতিরা ভয় পায়। তবে ভারতীয়রা রাতে জগ লাইট জালিয়ে হাতিরদল গুলিকে আমাদের দিকে তাড়িয়ে দিচ্ছে।
মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, জনে জনে লাইট ও ঘরে ঘরে কেরোসিন দেওয়া সম্ভব হবে না। তবে সবাই মিলে সম্মিালত চেষ্টা করতে হবে।