নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে দর্জি মালিক সমিতির ধর্মঘট। ১০ এপ্রিল সকালে তারা দোকান বন্ধ করে শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়কে ধর্মঘট পালন করে।
সৈয়দপুর দর্জি মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আমজাদ হোসেন জানান,প্রতি বছর রমজান মাস এলে দর্জি কারিগররা তাদের অযথা দাবি তুলে ধরে কাজে আসা বন্ধ করে দেয়। আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের দাবি কিছুটা হলেও পুরণ করে থাকি। আমরা দর্জি মালিকরা তাদের সমস্যা অতি সহজেই পুরণ করে থাকি। কারিগররা প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ থেকে ৫শ টাকা মজুরী পায়। বাড়তি কাজ করলে তারা প্রতিদিন ৭শ টাকা পর্যন্ত আয় করে থাকে। তারা প্যান্ট,শার্ট,পায়জামা,সেলোয়ার,কামিজ,ওড়না,কোর্ট,সাফারিসহ বিভিন্ন ধরনের পোষাক তৈরি করে থাকে। প্রত্যেক পোষাকের জন্য আলাদা আলাদা কমিশন রয়েছে। সে হিসাবে একজন কারিগর প্রতিদিন ৭শ টাকা পর্যন্ন মজুরী পেয়ে থাকে। কিন্তু রমজান এলে তারা তাদের মজুরী আরও বাড়ানোর দাবি তুলে। আমরা তাদের দাবি পুরণে রাজি না হলে তারা জোটবদ্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। ফলে বিপাকে পড়তে হয় মালিকদের। কারণ এ মাসে প্রায় সকল মানুষ নতুন পোষাক তৈরি করে। আর সময় মত তাদের পোষাক আমাদেরকে তৈরি করে দিতে হয়। বর্তমান বাজার মুল্যে আমরা কাটিংয়ের জন্য বাড়তি টাকা ক্রেতাদের কাছে ধরতে পারি না। তবুও কারিগরদের আমরা ন্যায্য মজুরি দিয়ে থাকি।
দর্জি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন বলেন, এ শহরে প্রায় ৬২টি দর্জি দোকান আছে। প্রত্যেক দোকানে প্রায় ৫ জন করে কারিগর কাজ করে। সে হিসাবে ৩১০ জন কারিগর কাজ করে। এবারও তারা প্রত্যেক পোষাকে ১৫ টাকা করে বাড়তি মজুরি দাবি করে। আমরা তাদেরকে ১০ টাকা করে দেয়ার কথা বলেছি। এতে তারা রাজি না হয়ে বরং ৩ দিন থেকে ধর্মঘট পালন করে।
টেইলার মাস্টার আলাউদ্দিন বলেন,বছরে শুধু রমজান মাসে আমরা আয় বেশি করি। তাই সকল দোকান মালিকরা একটা বড় আশা করে এ মাসে রোজগারের। কিন্তু কারিগররা যদি এমন দাবি করে বসে তাহলে আমরা পথে বসে যাব।
মজুরী বৃদ্ধির ব্যাপার কথা হয় কারিগর সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হকের সাথে। তিনি বলেন বর্তমান বাজারে কারিগররা যে কমিশনে কাজ করছে তাতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। তাই মালিক পক্ষকে তারা মজুরী বৃদ্ধির দাবি জানান। সে যাই হোক এ ব্যাপারে আমি সবার সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করবো।