নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি দমকা হাওয়ায় গাছ পড়ে আবদুল হাই নামে এক দিন মজুরের টিনের ঘর ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে তার পরিবার। এটি ঘটেছে কামারপুকুর ইউনিয়ন পশ্চিম আইসঢাল গ্রামে। বাড়ীর মালিক আবদুল হাই জানান,১৩ এপ্রিল সকালে হঠাৎ করে প্রচন্ড দমকা হাওয়ার সাথে ঝড় বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় আমার বাড়ীর পাশে আতাউর রহমানের লাগানো বড় বড় ইউক্লিড গাছ উপরে আমার বসবাসের ঘরে পড়ে। মুহুর্তে ওই ঘরটি দুমরে মুচড়ে যায়। এ সময় ঘরের মধ্যে কেউ না থাকায় সবাই প্রাণে রক্ষা পায়। তার দাবি ঘরের পাশে গাছগুলো ছিল বিপদজনক। তাই তিনি দীর্ঘদিন থেকে গাছগুলো কাঁটার জন্য মালিককে বলে আসছিলেন। কিন্তু গাছের মালিক তার কথায় কোন কর্ণপাত করেননি।
গতকালের দমকা হাওয়ায় গাছ পড়ে আমার প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কে এখন আমার ঘর ঠিক করে দেবে।
এদিকে গাছের মালিক জানান,আমি গাছগুলো মিস্ত্রীর অভাবে কাটতে পারি নেই। তার মধ্যে ঘটে গেল এমন ঘটনা। আমিও অসহায়। আমার গাছ পড়ে অন্যের বাড়ীর যে ক্ষতি হলো এটা পুরণ করা আমার পক্ষেও সম্ভব না।
কামারপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, গাছ পড়ে যে বাড়ীটি ভেঙ্গে গেছে তিনিও একজন গরীব মানুষ। আর যিনি গাছের মালিক তিনিও গরীব। তারপরও ভেঙ্গে যাওয়া বসবাসের ঘরটি ঠিক করে দিতে হবে। এ ব্যাপারে কি করা যায় তা আমি দেখছি।
গাছ পড়ে ঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় বর্তমানে ৬ সদস্যের পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে।