চাঁদপুরে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের কার্যক্রম পরিচালনার অংশ হিসেবে চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ জেলার নদী এলাকার সীমানায় বয়া ও লাল নিশান উড়িয়ে দিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল বুধবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অন্জনা খান মজলিশের দিক-নির্দেশনায় এই সীমানা নির্ধারণ সম্পন্ন করা হয়।
এতে অংশ নেয় চাঁদপুরের মতলব উত্তর ইউএনও গাজী শরিফুল হাসান,এসিল্যান্ড মোঃ হেদায়েত উল্লাহ, মুন্সিগঞ্জ সদর এসিল্যান্ড কামরুল হাসান মারুফ, সার্ভেয়ার বাদশাহ মিয়া, মতলব উত্তর উপজেলার সার্ভেয়ার আবু বক্কর সিদ্দিক, মতলব উত্তরের ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদাউস আলম সরকার’সহ অন্যান্যরা।
এ বিষয়ে ষাটনল ইউপি চেয়ারম্যান ফেরদাউস আলম বলেন, মুন্সিগঞ্জের চর আব্দুল্লাহ মৌজার বালুমহলের সীমানা নির্ধারণ করা হলো। এতে করে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এটি অপপ্রচার ছিলো তা প্রমাণিত হলো। আমি চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অন্জনা খান মজলিশ মহোদয়কে দ্রুত এই সীমানা নির্ধারণ করার উদ্যোগ নেয়ায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
এদিন, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার চর চারআনি মৌজা ও মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার চর আব্দুল্লাহ মৌজার সীমানা মেঘনা নদীর মাঝখানে পরিমাপ করে সীমানা বয়া ও লাল নিশান দিয়ে দেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ও মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ১৪২৯ বাংলা সন হতে চর আবদুল্লাহ বালুমহলটি মুন্সিগঞ্জ জেলার মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার ইউনিয়নে অবস্থিত। গত ৩ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার কোর্টগাঁও গ্রামের হাজী মো. ফারুক ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে জেলা বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা কমিটি ইজারা প্রদান করেন। ৬ এপ্রিল ২০২২ইং হতে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ০৫.৩০.৫৯০০.৩০৩.০৪.০০১.১৭-১০২ নং স্মারকে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর মো. এরশাদ মিয়া স্বাক্ষরিত পত্রে এই ইজারা দেয়া হয়েছিলো।
এ বিষয়ে মতলব উত্তর ইউএনও গাজী শরিফুল হাসান বলেন, চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে চাঁদপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। দুই জেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপস্থিতিতে সার্ভেয়ারগণ বিভিন্ন ম্যাপ পর্যালোচনা করে মেঘনা নদীর মধ্যে এই দুই জেলার সীমানা নির্ধারণ করেন। চাঁদপুর জেলা সীমানায় কোন প্রকার বালু উত্তোলন করা হচ্ছে না। মুন্সিগঞ্জ জেলার চর আবদুল্লাহ মৌজার মধ্যে যে স্থানে ইজারা দেয়া হয়েছে সেই স্থানেই শুধু বালু
উত্তোলন করা হচ্ছে। আমাদের চাঁদপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই।