কুমিল্লার নাঙ্গলকোট বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তফা মজুমদারের ধর্ষণে প্রতিবন্ধী নারী অন্তসত্ত্বা ও ধর্ষিতার পরিবারের লোকদের উপর হামলার প্রতিবাদে স্থানীয়দের মানববন্ধনে ধর্ষকের লোকদের বাধা প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার জোহরের নামাজ শেষে নাঙ্গলকোট পৌরসভার শ্রীহাস্য জামে মসজিদের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে এলাকাবাসী। এ সময় অভিযুক্ত মোস্তফার আত্মীয় আবদুল হালিম সহ তার পরিবারের লোকদের বাধায় মানববন্ধনটি পন্ড হয়ে যায়। ধর্ষণে অভিযুক্ত মোস্তফা শ্রীহাস্য গ্রামের মৃত আলী আহম্মেদের ছেলে, তিনি নাঙ্গলকোট বাজারের সীমা বস্ত্র বিতানের স্বত্তাধিকারী। পরে স্থানীয় কয়েক যুবক ধর্ষণে অভিযুক্ত মোস্তফা মজুমদারের বাড়ীর সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন শ্রীহাস্য গ্রামের মোহাম্মদ জুয়েল, সোহেল মজুমদার, ইলিয়াস হোসেন, সাফায়েত হোসেন প্রমুখ। বিক্ষোভকারীরা ধর্ষক মোস্তফা মজুমদারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
উল্লেখ্য, নাঙ্গলকোট পৌরসভার শ্রীহাস্য গ্রামের মৃত আলী আহম্মেদের ছেলে ব্যবসায়ী মোস্তফা মজুমদারের বাড়িতে এক প্রতিবন্ধী নারী গৃহ পরিচারিকার কাজ করতেন। সেই সুবাদে প্রতিবন্ধী নারীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে মোস্তফা। ধর্ষণের ফলে ওই প্রতিবন্ধী নারী অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি আড়াল করতে ওই নারীর গর্ভপাত ঘটাতে গেলে এলাকায় জানাজানি হয়। ভুক্তভোগী পরিবার বিচারের জন্য থানায় যাওয়ায় বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার সকাল ১০ টার দিকে শ্রীহাস্য গ্রামের সরোয়ারের দোকানের সামনে ধর্ষণে অভিযুক্ত মুস্তফা তার ছেলে আলমগীর, একই গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে সুজন, মুবাশ্বেরের ছেলে শাহাদাত ধর্ষিত প্রতিবন্ধীর ভাইয়ের ছেলে মিঠু (২৫) মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের (১২) উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে ও পরে মিঠুর অবস্থা আরো অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হয়।