ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে আধিপত্য বিস্তার ও পৌরটোল আদায়কে কেন্দ্র করে বিবাদমান আওয়ামী লীগ সমর্থিত দু’টি গ্রুপের মধ্যে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে ২জন নিহত হয়েছে। মারাত্মক আহত হয়েছেন দুই জন। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোহর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে পৌর সভা এলাকার গাড়ির টোল আদায় নিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কৃত মেয়র শহিদুজ্জামান সেলিম পক্ষিয়দের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ফলে একপক্ষ সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী শাহাজাহান আলী’র পক্ষে চলে আসে। এরপর এক পক্ষ আরেক পক্ষকে টোল আদায়ে বাঁধার সৃষ্টি করে। যে কারণে দুটি পক্ষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ দানা বেঁধে ওঠে।
পুলিশ ও প্রতক্ষ্যদর্শিরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে হঠাৎ করে স্থানীয় চৌগাছা বাস ষ্ট্যা-ের ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও এতিম খানার সামনে মেয়র সেলিম গ্রুপ ও সেক্রেটারী শাহাজাহান গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। ধারালো অস্ত্রের কোপে উভয় পক্ষের চারজন গুরুতর জখম হয়। স্থানীয়রা আহদেরকে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আনে। এর মধ্যে পথেই জীবন (১৭) নামের একজন মারা যায়। বাকী তিন জনের অবস্থা চরম খারাপ থাকায় হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোহর আড়াই’শ বেড হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এর মধ্যে যশোহর যাওয়ার পথে আক্তার হোসেন (২০) নামের আরেক জনের মৃত্যু হলে আহত সাহাগ (৩০) ও সাব্বির হোসেন (১৮)কে যশোহর আড়াই’শ বেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত জীবন (১৭) পৌর শহরের আদর্শপাড়ার ফিরোজ হোসেনের ছেলে এবং আক্তার হোসেন (২০) উপজেলার এলাঙ্গী গ্রামের বাবু তালেবের ছেলে।
বিষয়টি নিয়ে বিবাদমান কোন পক্ষই কথা বলতে রাজি হননি। তবে এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈনুদ্দীন এ প্রতিনিধিকে বলেন, টোল আদায়কে কেন্দ্রে করে মেয়র শহিদুজ্জামান সেলিম গুরুপ ও উপজেলা সেক্রেটারী শাহাজাহান আলী গুরুপের মধ্যে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এরইমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকা সন্দেহে ডন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার পর শহরে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।