সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যুগিখালী গ্রামের আবদুল বারিক দেওয়ানের কলেজ পড়ুয়া ছেলে লিটন হোসেন (২২)কে ব্র্যাক এজেন্ট ব্যাংক খোরদো শাখার হিসাবরক্ষক পদে মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা জামানত বাবদ হাতিয়ে নিয়েছেন ওই ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আবু মুসা। টাকা দিয়ে চাকরি না হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক পরিবারের সন্তান লিটন হোসেন। লিটনের পিতা আবদুল বারিক জানান, সন্তানের চাকরির আশায় ধানের জমি বন্ধক দিয়ে সুদ ও দাদন নিয়ে জামানতের টাকা জোগাড় করতে হয়েছে। সরল বিশ্বাসে স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র করে বিপাকে পড়েছে লিটনের পরিবার। লিটনের পিতা আবদুল বারিক দেওয়ান বাদী হয়ে দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর, ভুয়া নিয়োগপত্র, চাকরির ঘটনার বিবরণ উল্লেখ করে ১৫দিন পূর্বে আবু মুসাসহ ৩জনের বিরুদ্ধে ১টি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঐ অভিযোগ অনুযায়ী দুই পক্ষের উপস্থিতিতে, গত ৫এপ্রিল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদ কক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান গাজী মাহাবুবর রহমান মফে, ব্র্যাক এজেন্ট ব্যাংক অফিসার (খুলনা) মুসরিকুর রহমান, খোরদো শাখা ব্যবস্থাপক আবু মুসা, ইউপি সদস্য কওছার আলি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নজিবার রহমান, কৃষকলীগের সভাপতি আইয়ূব হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা আরিফ জাজানসহ দুই পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিটন ও তার পিতা মাতা জানায়, আবু মুসার স্বাক্ষরিত স্ট্যাম্প অনুযায়ী ২৭-৮-২০২১ তারিখে ১লক্ষ টাকা, ১-১২-২০২১ তারিখে ১লক্ষ ৮৭ হাজার টাকাসহ দুই দফায় ২লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা আবু মুসা ও তার সহযোগি মশিয়ার হাতিয়ে নিয়েছে। সংঘবদ্ধ দালাল চক্র লিটন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমার হুমকি দিচ্ছে। ব্র্যাক ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আবু মুসা লিটনের সব টাকা ফেরৎ দিয়েছে বলে সবার উপস্থিতিতে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। লিটনের পিতা আবদুল বারিক লিটনের চাকরি বাবদ জামানতের টাকা ফেরৎ পাবার দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।