আশা করে পিয়াজের আবাদ করচিল্যাম। তামাম পিয়াজ হামার ডুবে গেলো। একন ক্যাংকা করে পিয়াজ গুলে তুলমো বাহে? এ ক্ষতি একন পোষামো ক্যামনে? সাঘাটা উপজেলার চর হলদিয়া এলাকার কৃষক কিসমত আলী এভাবেই নিজের স্থানীয় ভাষায় কথাগুলো বলছিলেন। তার চার বিঘা জমির পিয়াজ যমুনার পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া পিয়াজ নিয়ে চিন্তিত এই কৃষক। এছাড়াও তার আরও দুই বিঘা জমির বোরো ধানের ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। একই অবস্থা কৃষক শাহ আলম, আবদুল কদ্দুস, আবদুর রহিম, ফজলু ও আতাউর রহমান সহ অনেকের। যমুনার পানিতে ডুবে যাওয়া পিয়াজ তোলা চেষ্টা করছেন তারা। গত কয়েক দিনে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষকরা পিয়াজ, চিনা বাদাম, মিষ্টি আলু ও বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। উঠতি ফসল পানিতে ডুবে যাওয়ায় কৃষকের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেছে। জানা গেছে, উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বেড়া, কানাইপাড়া, গোবিন্দপুর, নলছিয়াসহ চরের ১০টি এলাকায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত বিঘা পিয়াজ, বোরোধান সহ বিভিন্ন ফসলের জমি। এতে করে চরাঞ্চলে প্রায় ২০ হেক্টর জমির পিয়াজের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে বলে হলদিয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মওলা জানান। এছাড়াও চরে ২০ হেক্টর বোরো ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলেও তিনি জানান। উপজেলা কৃষি অফিসার মো: সাদেকুজ্জামান জানান, কৃষকদের পিয়াজ, বোরোর আবাদ সহ ক্ষতিগ্রস্ত জমির অবশিষ্ট আবাদ রক্ষার আমরা পরামর্শ মাঠে যাচ্ছি। ক্ষতি নিরুপনের কাজ করছি।