হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাত দিন ধরে অচেতন এক নারী ও তার সঙ্গে পাওয়া শিশুকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই নারী হাসপাতালে অজ্ঞান। তার দুধের শিশুটি আন্দিউড়া গ্রামের এক ব্যক্তির আশ্রয়ে থেকে ফেল ফেল করে তার মাকে খুঁজছে। পরিচয় নিশ্চিত করতে পিবিআই হবিগঞ্জ ওই নারীর ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। কিন্তু জাতীয় পরিচয় পত্রের সঙ্গে ম্যাচিং হচ্ছে না।
৯ এপ্রিল ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব পাশে একটি পরিত্যক্ত ঘরে অজ্ঞান অবস্থায় দুই বছরের একটি শিশুসহ নারীকে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামসহ এলাকাবাসী উদ্ধার করে। শিশুটি সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ইউসুফ মিয়ার বাড়ীতে সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। তবে বার বার মায়ের সন্ধান করে। অজ্ঞাত নারী চিকিৎসার জন্য মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইশতাক আল মামুন জানান অজ্ঞাতনামা নারী টহশহড়হি ঢ়ড়রংড়হরহম রোগে অদ্যাবধি জ্ঞানহীন। তবে মাঝে মধ্যে চোখ খোলে কথা বলে না।
থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, অজ্ঞাতনামা নারীর পরিচয় সংগ্রহের জন্য পিবিআই হবিগঞ্জ জেলা ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু কোনো জাতীয় পরিচয় পত্রের সঙ্গে ম্যাচিং হয় না। নারীর পরিচয় শনাক্ত করতে চেষ্টা চলছে। থানার ফেসবুক আইডিতে অজ্ঞাতনামা নারীর পরিচয় শনাক্তে জনগণের সহযোগিতা চেয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়।
ওই নারী কিভাবে, কোথা থেকে, কি উদ্দেশ্যে ওই পরিত্যক্ত ঘরে এলো। আবার অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিল। এ প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে প্রশাসন ও এলাকাবাসীর মনে।
মাধবপুর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে কাজ হচ্ছে। ওই নারীর জ্ঞান ফিরলে ও পরিচয় শনাক্ত হলে এর কারণ জানা যাবে।