পটুয়াখালীতে অপহৃত ব্যবসায়ী শিবু দাস ও তার গাড়ীর ড্রাইভার মিরাজ জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে পলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং শেষে আলোচিত এ অপহরণ ঘটনার বর্ননা করেন পুলিশ সুপার।
পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, পটুয়াখালীর ব্যবসায়ী শিবু দাস ও তার গাড়ীর ড্রাইভার মিরাজ কে অপহরনকারী মুল হোতা বরগুনার ল্যাংরা মামুন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত মোঃ বেল্লালের বাড়ী ঢাকাৎে। সে মামুনের সেকেন্ড ম্যান হিসেবে অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রন করেন।
এর বাহিরেও আন্ডার গ্রাউন্ডের একজন গডপাদার রয়েছেন, যিনি দেশেরে সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রন করেন আত্মগোপনে থেকে। পটুয়াখালী শহরের এবং জেলার বাহির থেকে পুলিশ যাদের গ্রেফতার করেছে তারা হলো কাটপট্টির শামিম আহমেদ, তার ভাই আক্তারুজ্জামান সুমন, আতিকুর রহমান পারভেজ, আদালতপাড়ার মিজানুর রহমান সাবু গাজী, ঢাকার বেল্লাল (মাতৃছায়া গার্মেন্টস) ও সাব্বির হোসেন জুম্মান।
পুলিশ জানায়, পুরো ঘটনার সাথে ১০/১৫ জন অপহরনকারী ছিল। তাদের গ্রেফতারে তথ্য গোপন রেখে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালীর অন্যতম ব্যবসায়ী শবিু লাল দাস (৬২) ও সঙ্গে তার ড্রাইভার মরিাজও (২৪) অপহৃত হয়েছিল। ১১ এপ্রিল রাত নয়টার দকিে গলাচপিা থকেে পটুয়াখালী শহররে নজি বাসায় ফরোর পথে এ অপহরণরে ঘটনা ঘট।ে
পটুয়াখালী পুলশি পরের দিন ভোরে শবিু দাসরে ব্যবহৃত প্রাডো গাড়টিি পরত্যিক্ত অবস্থায় পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়ক থকেে উদ্ধার কর।ে ড্রাইভারসহ অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধারে পুলশি অভযিান অব্যাহত রাখে।
পারবিারকি সূত্র জানায়, অন্যান্য দনিরে মতো শবিু লাল দাস তার ব্যবসায়ীক কাজ সরেে ড্রাইভারকে সঙ্গে নয়িে বাসায় ফরিছলিনে। তার মালকিানাধীন আড়ত দাস এ্যান্ড ব্রার্দাসরে ম্যানজোর ভবরঞ্জন সরকার জানান, রাত সাড়ে দশটার দকিে তনিি শবিু লাল দাসকে ফােন করনে। কন্তিু ফোন বন্ধ পান। এরপর বষিয়টি পরবিারকে জানান।
এদিকে, গভীর রাতে শিবুর ফোন থেকে কল করে ২০ কোটি টাকা মুক্তিপন দাবী করার অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী অনিতা রানী দাস।
শবিু লাল দাস পটুয়াখালী শহররে পুরান বাজার এলাকার বাসন্দিা, তনিি ঠকিাদার,ি ব্রীজরে টোল আদায়,খয়োঘাট ইজারা সহ বভিন্নি প্রতষ্ঠিানরে পরবিশেক ব্যবসার সাথে জড়তি।
শবিু লাল দাসকে উদ্ধারে পুলশিে ছয়টি টমি কাজ করছিল।১২ এপ্রিলে গলাচিপা থানায় শিবুর ছেলে কার্তিক বাদী হয়ে একটি অপহরণ মামলা করলে ওই দিনই রাত সাড়ে দশটার দিকে গোপনে খবর পেয়ে পটুয়াখালী শহরের কাজীপাড়্স্থ এসপি কমপ্লেক্সের আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পুলিশ শিবু ও তার গাড়ী চালক মিরাজকে বস্তা বন্দী হাত পা মুখ কস্টেপ রাগানো অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে হসিপাতালে জরুরী চিকিৎসা শেষে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় অপহৃতর্দে ১২ এপ্রিল আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় জবান বন্দী দেয়ার পর নিরাপদে বাসায় পৌছে দেয়া হয়।
ব্যবসায়ী শিবু লাল দাস সহ দুইজন অপহরনের ঘটনা পটুয়াখালীর বুকে এটাই প্রথম অপহরন। যে কারণে বিষয়টি টপ অব দ্য টাউনে পরিনত হয়েছিল।