বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও ভারি বৃষ্টিতে আধা-পাকা বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতির মুখে পড়েছে। অর্ধশত বিঘা আধাপাকা ধান হেলে পড়েছে। আবহাওয়ার এমন বৈরিতায় ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক।
জানা গেছে, গত বুধবার ভোর রাতে আদমদীঘি উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় ও ভারি বৃষ্টি হয়। আর এতে করে ধান মাটিতে পড়ে যাওয়ায় হতাশ কৃষকরা। তবে উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, ফসলের ওপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না। এদিকে সোনালি ধানে ছেয়ে আছে সারা মাঠ। কৃষকের বুক ভরা আশা। আর কদিন পরই ফসল ঘরে তুলবে। কৃষকদের সে আশায় যেন গুড়েবালি দিতে চলেছে কালবৈশাখী ঝড় ও ভারি বৃষ্টি। বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে খেতের কাঁচা, আধা-পাকা ও পাকা ধান গাছ মাটিতে পড়ে একাকার।
উপজেলার সান্দিড়া গ্রামের কৃষক আবদুল হাই সিদ্দিক জানান, তিনি ১৫ বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। ধান কাটতে এখনো ১০/১৫ দিন বাকি। বাতাসের কারণে ধান গাছ মাটিতে হেলে পড়েছে। ঝড় ও বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমেছে। ধান গাছ হেলে পড়ায় ফলন বিপর্যয়সহ লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলার কদমা গ্রামের কৃষক আজিজুল ইসলাম জানান, তিনি ১২ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। তার মধ্যে ৬ বিঘার আধা পাকা ধান একেবারে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারি বলেন, চলতি মৌসুমে অত্র উপজেলায় ১২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে কালবৈশাখী ঝড় ও ভারি বৃষ্টি কারণে ৩৪৫ হেক্টর জমির ধান গাছ হেলে পড়েছে। এতে করে ফসলের তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।