আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পৌরবাসি যাতে নির্বিঘেœ চলাচল করতে পারে সেই লক্ষ্যে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার এলাকার ২টি সড়কে জনগনের চলাচলে দুর্ভোগ লাঘবের জন্য পৌর মেয়র ও ৯টি ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এক মহতি উদ্যোগ গ্রহন করেন। তারা তাদের সম্মানী ভাতা টাকা ও রাজস্ব থেকে টাকা যৌথভাবে দিয়ে দুইটি সড়ক মেরামতের কাজ করছেন। এই দুটি সড়কের মেরামত কাজ করায় পৌরবাসির মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
সান্তাহার পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ভুট্টু জানান, পৌর এলাকার রেলগেট থেকে সাইলো সড়ক পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ও পৌরসভা গেট থেকে হবির মোড় সড়ক পর্যন্ত ১ কিলোমিটার এই দুই সড়কের পাকা কাপেটিং উঠে যানবাহনসহ সাধারণ মানুষের চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। কিন্তু সরকারি ভাবে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় তা দীর্ঘ দিনেও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পবিত্র ঈদুল ফিতরে জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলে যাতে কোন দুর্ভোগ পোহাতে না হয় এইজন্য পৌরসভার কাউন্সিলরদের সাথে এক মতবিনিময় করে মেয়র ও কাউন্সিলরদের কিছু সম্মানী ভাতার টাকা আর রাজস্ব থেকে কিছু টাকা যৌথভাবে নিয়ে পৌর পরিষদ রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহন করে। সেই মোতাবেক ওই দুইটি সড়ক মেরামতের কাজ করা হয়।
সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের বাসিন্ধা ও সাবেক ইউপি সদস্য শিপলু খান বলেন, তিনি শুধু সান্তাহার পৌরসভার মেয়র নয়, তিনি আমাদের সকলের মেয়র। আমাদের মত যারা ইউনিয়ন থেকে পৌর শহরের আসি তাদের দুর্ভোগ দেখে যে মহতি উদ্যোগে গ্রহন করছেন। সেই জন্য আমি সান্তাহার ইউনিয়নবাসীর পক্ষ থেকে মেয়র সাহেক কে ধন্যবাদ জানায়। সান্তাহার পৌর শহরের পৌঁওতা গ্রামের বাসিন্ধা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, পৌরসভা গেট থেকে হবির মোড় সড়ক পর্যন্ত এই সড়কের পাকা কাপেটিং উঠে যানবাহনসহ সাধারণ মানুষের চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। ঈদুল ফিতরের আগে সংস্কার কাজ করার আমরা খুব খুশি হয়েছি।
৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সির আলাউদ্দিন জানান, পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা সবাই সম্মানী ভাতার কিছু টাকা আর রাজস্ব থেকে টাকা নিয়ে নিয়ে উদ্যোগ গ্রহন করি। আর সেই টাকা দিয়ে রেলগেট থেকে সাইলো সড়ক ও পৌরসভা গেট থেকে হবির মোড় সড়ক পর্যন্ত এই দুই সড়কের কাজ করি। এ কাজের প্রায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।