নওগাঁর মান্দা উপজেলার লক্ষীরামপুর গ্রামে শনিবার দুপুরে প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ৬ বছরের শাকিলা আকতার নামে এক শিশু কন্যাকে কৌশলে বাঁশ ঝাঁড়ের ভেতরে এনে ধর্ষনের পর শিশুটির মুখে প্যান্টের কাপড় গুজে দিয়ে হত্যা করেছে একই গ্রামের বখাটে কিশোর জুয়েল। মৃতদেহ উদ্ধারের ৫ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ওই ধষর্ক কিশোরকে আটক করে জিঙ্গাসাবাদ করলে সে ধর্ষনের কথা স্বীকার করেছে। রোববার দুপুরে নওগাঁ পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং এ নওগাঁ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান এই তথ্য জানিয়েছেন। প্রেস ব্রিফিং এ নওগাঁ পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান জানান, শনিবার দুপুরের দিকে ওই শিশুকন্যা তার বাড়ির পাশে জনৈক গোবিন্দ চন্দ্র সাহার বাঁশ ঝাঁড়ে আরো কয়েকজন শিশুর সাথে খেলা করছিলো। এ সময় কিশোর জুয়েল বাঁশ ঝাড় থেকে কঞ্চি কাটছিলো। অন্য শিশুরা চলে গেলে জুয়েল কৌশলে নিহত শিশুকে বাঁশঝাড়ের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করলে শিশুটি রক্তাক্ত হয়ে যায়। শিশুটি এই বিষয়টি বাবামাকে বলে দিতে চাইলে জুয়েল শিশুটিরটির প্যান্টের কিছু অংশ ছিড়ে শিশুটির মুখে গুজে দিয়ে তাকে গলাটিপে হত্যা করে। গত শনিবার সন্ধ্যালগ্নে বাঁশ ঝাড়ের ভেতরে শিশুটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর ভবঘুরে জুয়েলের আচরণে সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে আটক করে। পরে জুয়েল ধর্ষনের কথা স্বীকার করে এবং তার দেয়া তথ্যানুসারে ওই শিশুকন্যার প্যান্টের বাকি অংশ ও আত্রাই নদীর পাশে ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই নিহত শিশু কন্যার বাবা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মান্দা থানায় মামলা করেছেন। ধর্ষক জুয়েলের স্বীকারোক্তীমুলক জবানবন্দী গ্রহনের জন্য রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।