ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ উপজেলায় পিরোজপুর গ্রামে ছোট ভাইয়ের ছুরির আঘাতে বড় ভাই নিহত হয়েছে। বারোবাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে ২০০ গজ দুরে গোড়ার মসজিদ রোডে শাহ হোমিও হলের ভিতর ছোট ভাই শাহ মোহাম্মদ হাফিজ, বড় ভাই শাহ মোহাম্মদ ফজলু (৬০)কে ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করলে সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি ওই ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ছিলেন। তারা পিরোজপুর গ্রামের মৃত শাহ মুজিবুর মাষ্টারের ছেলে। মৃত ফজলু দীর্ঘ দিন যাবত বারোবাজারে বসবাস করে আসছিলেন। তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এলাকাবাসি জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে ফজলুর মোবাইলের দোকালে ছোট ভাই হাফিজুর রহমান যান এবং সেখানে গোলযোগ হয় বড় ভাইকে মারধর করে হাফিজুুর রহমান। দুপুর ১২ টার দিকে ফজলুুুর রহমান ও তার ছেলে হাফিজুর রহম হোমিও হলের দোকানে ছেলে আবার ও গোলযোগ হয়।এক পর্যায় দোকানের ডয়ারে থাকা ছুরি দিয়ে বড় ভায়েরবুুকে আঘাত করে সে পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্র্তব্যরত চিকিৎসক মৃৃৃৃত্যুু ঘোষনা করেন।
নিহতের ভাইপো তানভির রহমান রনি জানান, তার বাবা ও চাচারা ৫ ভাই,৩ চাচা বেশ আগেই মারা গেছেন।ফজলুুর রহমান ছিলেন সেজ ভাই। বেশ কিছুদিন ধেরে জমিজমা নিয়ে গোলযোগ চোলে আসছিল দু,জনের মধ্যে। এ বিরোধের কারনেই এই হত্যাকান্ডটি সংগঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বাবার রেখে যাওয়া সম্পতি নিয়ে বিরোধ চলছিলো দু, ভায়ের মধ্যে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ছোট ভাই হফিজের হোমিওপ্যাথির চেম্বারের ভিতর জমিজমাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা চরম আকার ধারণ করে হাতাহাতি পযৃন্ত এবং একপর্যায়ে দোকানে থাকা ছুরি দিয়ে বড় ভাইয়ের বুকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ধরে যশোর সদর হাসপাতারে পাঠালে সেখানে তিনি মারা যান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান, এ ঘটনায় এখনও কেউ আটক হয়নি। তবে জড়িতদের আটকে পুলিশের অভিযান চলছে।