মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ ২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে সুনামগঞ্জ জেলায় ১১৪৯ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ২ শতক জমি সহ পাকা ঘর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় তার কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদ উপহার হিসেবে জমির দলিল সহ চাবি হস্তান্তর করেন। এতে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষ গুলোর ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ হবে। সুনামগঞ্জ জেলার মোট ১১৪৯ টি গৃহ প্রদান কার্যক্রম নিজ নিজ উপজেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই করা হয়েছে। উপজেলা ভিত্তিক গৃহ প্রদান হচ্ছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৬৫ টি বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ১৯০ টি,দিরাই উপজেলায় ৪২ টি, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ১২৫ টি,তাহিরপুর উপজেলায় ৪৫ টি,শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৪০ টি,ছাতক উপজেলায় ১৬২ টি, জগন্নাথপুর উপজেলায় ১৮০ টি,ধর্মপাশা উপজেলায় ১৫০টি ও জামালগঞ্জ উপজেলায় ১৫০ টি গৃহ প্রদান ও কবুলিয়ত দলিল সম্পাদন করে দেয়া হয়েছে। সারা দেশের ৬৪ জেলার ৪৯২ উপজেলায় ৩২৯০৪ টি ঘর বরাদ্দ প্রদান করেন। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই ঘর প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্ম কর্তা ইমরান শাহরিয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া,এডভোকেট আবুল হোসেন, এসিল্যান্ড সাদিয়া সুলতানা,পিআইও মানিক মিয়া,জন স্বাস্থ্য কর্ম কর্তা খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র নুরুল ইসলাম বজলু, লক্ষনশ্রী ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ, গৌড়া,রং ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী প্রমুখ। তাহিরপুর উপজেলায় সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন সংযুক্ত থেকে হস্তান্তর করেন। এ সময় তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, ইউএনও,রায়হান কবির সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ ও নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলাধীন রংগারচর ইউনিয়নের আদার বাজারে নির্মিত ঘর পাওয়া আমানত আলী, আছিয়া বেগম, কান্তা রানী সুজাতা রানী, সুনীল দাস হারেছা, ললিতা, সেলিনা, প্রাণ তোষ সহ অন্যান্য উপকার ভোগীদের সাথে কথা বললে তারা খুশিতে কেঁদে ফেলেন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বললেন জীবনে সপ্নে ও ভাবিনি এমন পাকা ঘর পাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সে স্বপ্ন পুরন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ূ কামনা করেন উপকার ভোগীরা। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান সরকারের এ মহতী উদ্যোগ বাস্তবায়নের লক্ষে দিনমজুর অসহায় ও দুঃস্থ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের তথ্য যাচাই বাছাই করে নিশ্চিত হওয়ার পর সুবিধা ভোগীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করা হয়।