পাসপোর্টধারি যাত্রীদের পদচারণায় এখন মুখরিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় ভ্রমণ ভিসা বন্ধ থাকায় অনেকে যেতে পারেনি ভারতে। সম্প্রতি ভ্রমণ ভিসা চালু হওয়ায় ভারতে যাতায়ত উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ঈদের কেনাকাটা ও চিকিৎসা নিতেই বেশির ভাগ যাত্রী ভারতে গমন করছেন।
ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, গড়ে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ৯০০ যাত্রী এই ইমিগ্রেশন দিয়ে যাতায়ত করেন। গত বুধবার যাতায়ত করেছেন ৮৯৫ জন। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ বন্দর সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন ঈদের ছুটুতে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে।
বৃহস্পতিবার(২৮ এপ্রিল) দুপুরে ইমিগ্রেশনে গিয়ে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন ইমিগ্রেশন ভবন থেকে বাইরে চলে গেছে। কাউন্টারের সামনেও যাত্রীদের প্রচন্ড ভিড়। ভিড়ের কারণে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা কাজ করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। তীব্র রোদ ও গরমের কারণে যাত্রীরা যেন হাপিয়ে উঠেছেন।
চট্টগ্রাম শহরের মুক্তা বিশ্বাস নামের এক নারী বলেন চিকিৎসা সংক্রান্ত কারণে ছেলেকে নিয়ে ভারতে যাচ্ছি। প্রথমত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো। বিশেষ করে ট্রেন যোগাযোগ। তাছাড়া এ বন্দর দিয়ে আগরতলা গেলে ফ্লাইটেরর একটা সু ব্যবস্থা থাকে। আখাউড়ার স্বপন দেবনাথ নামের আরেক যাত্রী বলেন, এপারের ইমিগ্রেশনের কাজ খুবই দ্রুত শেষ করা যায়। তবে ওপারের ইমিগ্রেশনে লম্বা সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে যাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়েন। খাগড়াছড়ির বজেশ্বর দেওয়ান বলেন, মেয়ের জামাইয়ের চিকিৎসার জন্য ভারত যাচ্ছি। যাত্রী সেবারমান অনেক ভালো হওয়ায় এ রোডেই যাতায়ত করতে আমার খুব ভালো লাগে। চট্টগ্রামের মিরাইশরের আজমান আক্তার নামের এক ব্যবসায়ি জানান, ব্যবসায়ি কাজে ভারতে যাচ্ছি। ব্যবসায়িক কাজে প্রায় সময়ই এই পথ দিয়েই যাতায়ত করি। আজ প্রচুর পরিমানে লোকের সমাগম ও দীর্ঘ লাইন। কাজের তাগিদেই যেতে হচ্ছে।
আখাউড়া চেকপোষ্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ পরিদর্শক আবু বকর সিদ্দিকী বলেন,গত ৬ এপ্রিল এ চেকপোষ্ট দিয়ে ভ্রমণ ভিসা চালু হওয়ার পর থেকেই প্রতিদিন যাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে গড়ে প্রতিদিন ৮০০ থেকে ৯০০ যাত্রী আসা-যাওয়া করছে। ঈদের ছুটিতে তা দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভবনা আছে। যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি ও আগরতলা বিমানবন্দর কাছাকাছি হওয়ায় এ ইমিগ্রেশনে প্রতিদিনই যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে।