বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে (৬মে) শুক্রবার বেলা ১০ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ভিন্ন ভিন্ন সাংবাদিক সম্মেলন ডাকায় সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির বাসভবনে এবং সাধারন সম্পাদক বাউফল প্রেসক্লাবে ভিন্ন ভিন্ন সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার সম্প্রতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাতীয় সংসদের সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরণের বিষোদগার মুলক বক্তব্য রাখছেন। এর প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার বেলা ১০ টায় দলীয় কার্যালয় জনতা ভবনে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। হঠাৎ করে একই সময় একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষনা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদার। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে সম্ভাব্য অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিন আওয়ামী লীগের কার্যালয় জনতা ভবন চত্ত্বরে শুক্রবার সকাল ৮ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন। ১৪৪ ধারা জারির প্রেক্ষিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বাউফল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইব্রাহিম ফারুকের বাসভবনে সকাল সারে ১০ টায় সংবাদ সম্মেলন করেন। দলের সহ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আলম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক মো. ফরিদ উদ্দিন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোসারেফ হোসেন খান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাধারন সম্পাদক দলের গঠণতন্ত্র উপেক্ষা করে সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট অপপ্রচার, অশালীন বক্তব্য ও বিষোদগার মন্তব্য করে যাচ্ছেন। জেলা সভাপতির অনুরোধ সত্বেও তিনি তার মুখের লাগাম টানছেন না। সাধারন সম্পাদক সুবিধাবাদী, দলছুট ও জামাত-বিএনপির কিছু চিহ্নিত লোক নিয়ে দলের মধ্যে ভাঙণ ধরানোর অপচেষ্টা করছেন। দলীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করে অনেক সম্পত্তি ও টাকার মালিক হয়েছেন। সে যদি এখনো সংযত হয়ে দলের কাজ না করেন, তবে সেক্ষেত্রে উপজেলা আওয়ামী লীগ দলের উচ্চ পর্যায়ের সাথে আলোচনা করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মরিয়ম বেগম নিশু, কাছিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, কালিশুরী ইউপি চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন সিকদার, সূর্যমনি ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এস.এম ফয়সাল আহমেদ, কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার, চন্দ্রদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক আলকাচ, নওমালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল বিশ্বাস, আদাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম, জেলা পরিষদ সদস্য জহির উদ্দিন বাবর, হারুন অর রশিদ খান যুবলীগ সভাপতি শাহজাহান সিরাজ সহ কয়েকশত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে বেলা সারে ১২ টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবদুল মোতালেব হওলাদার সভাপতির নানা অনয়িমের অভিযোগ এনে বাউফল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন।