শেরপুর সদর উপজেলার কুসুমহাটি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৬ মে ) সকালে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলাকালে পার্শ্ববর্তী জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের আর একটি দল যোগ হয়ে দীর্ঘ এক ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বরাত দিয়ে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বলেন, কুসুম বাজারের স্বপন ইলেকট্রনিক্সের দোকান থেকে শর্ট সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে আগুন মুহূর্তের মধ্যে চারদিক ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। আগুনে ব্যবসায়ীদের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দোকান মালিকদের কাছে জানা যায়,কুসুমহাটি বাজারের মরহুম অহেজ আলী মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে স্বপন ইলেকট্রনিক্সের মালিক মোঃ স্বপন মিয়ার ওয়ালটন শো রুমে টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল-ফোন ও সিলিং ফ্যান সহ সকল ইলেকট্রিক মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮০-৯০ লাখ টাকা। সীমান্ত মেডিক্যাল হল এর মালিক মোঃ মহসিন আলীর পাইকারি
দোকানের সকল ওষুধ পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে প্রায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকা। মীম জুয়েলার্স পুড়ে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ টাকা। অজয় নন্দীর ওষুধ ফার্মেসী দোকানে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ লাখ টাকা। মিজানুর রহমানের মীম ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ লাখ টাকা। সোহা জুয়েলার্সের আজাদ মিয়ার ক্ষতির পরিমাণ ২ লাখ টাকা। হাসেম মেম্বারের হিয়ার টেলিকমে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ টাকা। শাহজাহান মিয়ার রবিন এন্টারপ্রাইজে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মুসলিম উদ্দিনের মীম টেলিকমে ক্ষতির পরিমাণ ৩ লাখ টাকা। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল তাৎক্ষণিক পরিদর্শন করেন শেরপুর সদর উপজেলার
নির্বাহী অফিসার মেহনাজ ফেরদৌস। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।