শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ধান কাটা
শ্রমিক সংকটে অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষক। ভরা বোরো মৌসুমে পাকা ধান মাঠে রেখে
দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। প্রকৃতি নির্ভর এই আবাদে সময়মতো ধান ঘরে তুলতে
না পারলে যে কোন সময় শীলা বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে কৃষকের সোনার ফসল।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো আবাদে ২২ হাজার
৭৫৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধান লাগানো হয়েছে। ইতোমধ্যে সারা উপজেলা জুড়ে
পুরোদমে ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলন ভালো হলেও ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছে
কৃষক। এখন শ্রমিক সংকটের কারণে প্রতি একর জমির ধান কাটতে ১৪/১৫ হাজার
টাকা নিচ্ছেন শ্রমিকরা। অথচ প্রতিমন ধানের বর্তমান বাজার দাম ৬০০ থেকে
৭০০ টাকা মন। বর্তমান বজার দর ও অধিক শ্রমিক মজুরীতে ধানের উৎপাদন খরচ
বেশি পড়ছে বলে জানান কৃষকরা।
উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের কৃষক আবু সাইদ জানান, ধানের বাজারের সাথে মিল
রেখে শ্রমিকের মুজুরী নির্ধারন করে জরুরি ভিত্তিতে উপজেলা জুড়ে মাইকিং
করার ব্যবস্থা করলে কৃষক উপকৃত হবেন।
আন্ধারুপাড়া গ্রামের কৃষক হাবিল উদ্দিন বলেন, শ্রমিকরা তাদের মনমতো
অতিরিক্ত দামে ধান কাটছে। এতে আমরা শ্রমিকের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছি।
কর্তৃপক্ষ জরুরী ভিত্তিতে ধান কাটা বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। কৃষি
শ্রমিক আবদুল করিম বলেন, বর্তমানে সব জিনিসের বাজার দর বেশি হওয়ায় কমদামে
ধান কাটলে আমাদের পুষায় না।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, শ্রমিক
সংকট মোকাবেলায় কৃষিকে যান্ত্রিকীকরন করা হয়েছে। এ লক্ষে সরকার শতকরা ৫০
ভাগ ভর্তুকি দিয়ে মাড়াইযন্ত্র বিতরণ করছে। এই সুবিধা দেওয়ার পরও কৃষকরা
এসব যন্ত্র নিচ্ছেন না। শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় ১৫টি কম্বাইন্ড
হার্ভেষ্টার মেশিন দেওয়া হয়েছে। রোববার থেকে প্রতি ইউনিয়নে মেশিনের
সাহায্যে ধান কাটা শুরু করা হবে। আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উৎপাদন
লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলেও তিনি জানান।