শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে দেশের বিভিন্ন
স্থানের ৬৭জন কবিকে আন্তর্জাতিক গুণী কবি সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ মে) রাতে ‘মহারশি সাহিত্য পরিষদ’ এর প্রথম প্রতিষ্ঠা
বার্ষিকী উপলক্ষে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
ঝিনাইগাতী মিল মালিক ও খাদ্য ব্যবসায়ী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, সংগীতজ্ঞ ও জ্ঞানতাপস প্রাকৃতজ কবি
শামীম রুমি টিটন। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন মহারশি সাহিত্য পরিষদের প্রধান
উপদেষ্টা আইয়ুব আকন্দ বিদ্যুৎ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) কবি জামাল
শেখ। এতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবি শামছুল হক শামীমের সঞ্চালনায়
বক্তব্য দেন কবি আতিক হেলাল, কবি তালাত মাহমুদ, শিশু সাহিত্যিক ছাড়াকার
মোস্তাফিজুল হক, কবি হাদিউল ইসলাম, মিস রবেতা ¤্রং, ছাড়াকার নূরুল ইসলাম
মনি, কবি মহিউদ্দিন বিন জুবায়েদ, বিশিষ্ট লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর
রহমান, শিশু সাহিত্যিক, উপন্যাসিক ও ছাড়াকার আশরাফ আলী চারু, কবি আনিসুর
রহমান, কবি ও সাংবাদিক রফিক মজিদ, কবি জাহাঙ্গীর আলম, জান্নাতুল রিকসনা,
আবৃত্তিকার ও সাংবাদিক ইমরান হাসান রাব্বী প্রমুখ।
মহারশি সাহিত্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা আইয়ুব আকন্দ বিদ্যুৎ বক্তব্যে
বলেন, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ছাড়া সভ্যতা-সমাজ বিকশিত হতে পারে না।
সমাজের অনিয়ম, শোষণ-বৈষম্য দূরীকরণে শিল্প সাহিত্যের ইতিবাচক ভূমিকা
রয়েছে। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে কবি লেখকদের অবদান
রয়েছে। সমাজের অপশক্তি ও কুসংস্কার দূর করে সাহিত্য মূল্যবোধে বিকাশ
ঘটাবে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে ও মুক্তিযুদ্ধ
নিয়ে প্রচুর সাহিত্য রচিত হয়েছে। শিল্প ও সাহিত্যে যতবেশী চর্চা ও অনুবাদ
হবে, ততই জাতী ও সমাজ সমৃদ্ধ হবে। বাঙালি সংস্কৃতি ও ভিশন বিশ্ববাসীর
সামনে তুলে ধরতে সাহিত্যের প্রয়োজন।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নবীন ও
প্রবীণ কবিদের আগমনে কবিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। অনুষ্ঠানের আলোচনা সভা
শেষে উপস্থিত কবিরা তাদের স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।