পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কৃষকরা। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘুর্নিঝড়ের আভাস ও শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকের পাকা ধান তোলা নিয়ে দূচিন্তায় দিন পার করছে কৃষক। কৃষকরা জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে আগামী ১১/১২ মে বাংলাদেশে আঘাত আনতে পারে ঘুর্নিঝড় অশনি আবহাওয়া অফিসের এমন খবরে কৃষকের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। আধাপাকা ধান কাটতেও দ্বিধা করছে না তারা। তাই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কৃষক তাড়া তাড়ি পাকা ধান তুলতে ব্যস্ততায় দিন পার করছে।
পাটকেলঘাটার চোমরখালী গ্রামের কৃষক সিদ্দিকুর রহমান জানান, শ্রমিক সংকটের কারণে তারা পাকা ফসল কাটতে পারছেন না। তিনি আরও জানান, ১ বিঘা জমি (৩৩ শতক )। জমির ধান কাটতে ৫ হাজার টাকার অধিক খরচ হচ্ছ, তার পরও মিলছে না শ্রমিক। বাধ্য হয়ে জেলার বাইরে থেকে শ্রমিক সংগ্রহ করে ধান কাটতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান দৈনিক খাওয়া সহ একজন শ্রমিককে ৮ শত টাকা মুজুরীতে কাজ করানো হচ্ছে।
পাটকেলঘাটার যুগিপুকুরিয়া গ্রামের কৃষক আবু হোসেন জানান এবার তিনি ১৫ বিঘা জমিতে বোরো ফসল চাষাবাদ করেছেন। ফসল ভালো হয়েছে এবং অধিকাংশ জমির ধানই পেকে গেছে ইতোমধ্যে তার জমিতে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে শ্রমিকের মুজুরী বেশি থাকার কারণে খরচ একটু বেশি বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অধিদফতর সূত্র জানায়, এবার উপজেলায় ১৯ হাজার ৫ শ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ করা হয়। ফলনও অনেক ভালো তবে হাইব্রিড জাতীয় ধানের ফলন অনেকাংশে ভালো। উপজেলায় প্রায় অর্ধেকের বেশি কৃষক তার জমির ধান বাড়ি তুলেছে। সকলে একই সাথে ধান কাটে তাই এ সময় কিছুটা শ্রমিক সংকট দেখা দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানান, আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসের প্রেক্ষিতে দ্রুত ধান কেটে ফেলতে কৃষকদের অনুরোধ করা হয়েছে।
শ্রমিক সংকট থাকায় কৃষক-কৃষাণি তাদের পরিবার-পরিজন এবং স্বজনদের নিয়ে ফসল তোলার কাজে মাঠে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।