ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থিত নাটোরে বনপাড়া যেনো এক মৃত্যু ফাঁদ। যেখানে একদিনেই ঝরেছে ৮টি তাজা প্রাণ। শনিবার সকালে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৭ জন নিহত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আরেকটি দুর্ঘটনায় শামিম আহমেদ নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।
রোববার কর্মস্থলে যোগ দেবার কথা থাকলেও লাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থীকে। রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার শিবপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে শামিম আহমেদ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষে, ২০১৯ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের রিলেশনশীপ অফিসার হিসেবে পাবনার ফরিদপুর উপজেলা শাখায় যোগ দেন শামিম। শনিবার ঈদের ছুটি শেষে মোটরসাইকেল যোগে কর্মস্থলে ফেরার পথে নাটোরের বনপাড়ায় তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, অজ্ঞাত পরিবহনের চাপায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মাত্র ৫ মাস আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসা শামিমের।
শামিম ছিলো তিন ভাইয়ের মধ্যে মেঝো। ঈদের ছুটিতে গেল বৃহস্পতিবার স্ত্রী নাহিদাকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরেন শামিম। রোববার ছুটির পর প্রথম কর্মদিবস থাকায় শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন শামিম। বিদায় নেয়ার আগে শহর থেকে অসুস্থ মায়ের ঔষুধও এনে দেন। রাত ৮ টার দিকে পরিবারের সদস্যরা খবর পায় শামিম আর নেই।
নিহতের স্বজনরা বলছে, পারিবারিকভাবে ৫ মাস আগে হলেও এখনো শামিমের বউকে ঘরে তোলা হয়নি। পরিবারের ইচ্ছে ছিলো, নতুন বাড়ির কাজ শেষ করার পর বউকে বরণ করার। তার আগেই লাশ হয়ে ফিরতে হলো তাকে।
রাত দুটোর দিকে শামিমের লাশ বাড়িতে আসে। কোমর থেকে পা পর্যন্ত পিষে যাওয়ায় তড়িঘড়ি করে সকাল সাড়ে ৮ টায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।