বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে দীর্ঘ দিন ধরে চলে আসছে পকেটমার চক্রের রামরাজত্ব। প্রতিদিন কোন না কোন ট্রেনে অথবা ষ্টেশনে প্লাটফর্মে যাত্রীদের খোয়া যাচ্ছে স্বর্নালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ মুল্যবান মালামাল। পকেটমার চক্রের অবাধ তৎপরতা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে একাদিক সংবাদ, অভিযোগ গেছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন মহলে। এত কিছুর পর পুলিশ বন্ধ করতে পারেনি পকেটমারদের দৌরাত্ব বরং উল্টো ঘটনা ঘটেছে গত শুক্রবার রাত ১২টায় ষ্টেশন এলাকায়। ঢাকাগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে রোকনুজ্জামান রুকু সরদার নামের এক ব্যক্তি এক পকেটমার কে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে ওই পকেটমারকে তুলে দেন সান্তাহার রেলওয়ে থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মোসলেম উদ্দিনের হাতে। পুলিশ সদস্য মোসলেম উদ্দীন কৌশলে ওই পকেটমারকে ছেড়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগে রেল পুলিশ সদস্য কে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি সাকিউল আযম পুলিশ সদস্য কে প্রত্যাহার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে ওই পুলিশ সদস্য পাকশী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত রয়েছেন।
নওগাঁর সদর উপজেলার দোগাছী গ্রামের বাসিন্দা রোকনুজ্জামান রুকু সরদার বলেন, গত শুক্রবার রাত ১২টায় তিনি তাঁর বোনের মেয়ে কে ঢাকাগামী নীলসাগর আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেয়ার জন্য সান্তাহার জংশন ষ্টেশনে আসেন। ট্রেন ষ্টেশনে আসলে তার আত্মীয়কে ট্রেনে তুলে দেয়ার সময় এক পকেটমার তাঁর পায়জামার পকেট থেকে টাকা ও ভাগনীর হাত ব্যাগ থেকে অলংকার তুলে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তাঁকে হাতেনাতে ধরে মোসলেম উদ্দিন নামের পুলিশ সদস্যর কাছে সোপর্দ করা হয়। ট্রেন চলে যাওয়ার পর তিনি জানতে পারেন পুলিশ সদস্য মোসলেম উদ্দীন কৌশলে ওই পকেটমার কে ছেড়ে দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত হলে ওই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যহার করে পাকশী পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সান্তাহার রেলওয়ে থানার ইনচার্জ ওসি সাকিউল আযম বলেন,পকেটমার কে আটক করে থানায় না নিয়ে ছেড়ে দেওয়ায় ঘটনায় পুলিশ সদস্য মোসলিম উদ্দিন কে সান্তাহার রেলওয়ে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পাকশী পুলিশ সদর দপ্তরে নেওয়া হয়েছে।