শেরপুরে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক
কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে আবুল হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে
যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের
কারাদ- দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (৮ মে) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামির
অনুপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করেন। মামলার শুরু থেকেই আসামি আবুল হোসেন
পলাতক রয়েছেন। আবুল হোসেন শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের
যোগিনীবাগ ভিটাকান্দা এলাকার আবদুল জব্বারের ছেলে। এ রায়ে একইসাথে
অপহরণের দায়ে তাকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা,
অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। তবে উভয় সাজা একইসাথে চলবে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এ্ডভোকেট গোলাম কিবরিয়া
বুলু রায়ের বিষয়ে জানান, শেরপুর শহরের মোবারকপুর কইনাপাড়া মহল্লার
হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে ও পার্শ্ববর্তী যোগিনীমুড়া দাখিল মাদরাসার অষ্টম
শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরীকে ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায়
মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নিয়ে সিএনজিতে উঠিয়ে অপহরণ
করে আবুল হোসেন। ওই ঘটনায় ২ অক্টোবর আবুল হোসেন, তার বড়ভাই আনোয়ার হোসেন
ও বাবা আবদুল জব্বারকে আসামি করে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন
ভিকটিমের মা।
তিনি জানান, ভিকটিমকে উদ্ধার করে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর ৩ জনের বিরুদ্ধে
অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ারুল ইসলাম। ২০২০
সালের ৯ ডিসেম্বর প্রধান আসামি আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়
এবং ভাই আনোয়ার ও বাবা আবদুল জব্বারকে অব্যাহতি দেয় ট্রাইব্যুনাল।
বিচারিক পর্যায়ে মামলার বাদী, ভিকটিম ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫ জন সাক্ষীর
সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।