ঘূর্নিঝড় অশনির প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় উপকূলের দিকে ফিরে আসতে শুরু করেছে শত শত মাছ ধরা ট্রলার। অশনির প্রভাবে রোববার (৮ মে) রাত থেকেই পাথরঘাটায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই কয়েকশত ট্রলার বিষখালী,বলেশ্বর, সুন্দরবনের খালগুলোর বিভিন্ন স্থানে ও উপকূলের খালগুলোতে নিরাপদ আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। সোমবার (৯ মে) সকাল থেকে দিন যতই গড়াচ্ছে আবহাওয়া আরও খরাপের দিকে যাচ্ছে। বিকেলে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত বিরামহীন ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে এখনো কোনো ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলে, কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষ।
মঠেরখাল থেকে সোহাগ হাওলাদার জানান, একটানা ভাড়ি বৃষ্টির কারণে তলিয়ে গেছে চরদুয়ানী ইউনিয়নের ৭নং মঠেরখালসহ গোট উপজেলার মুগডালের ক্ষেত এতেকরে খতির সম্মুখীন হবে
উপজেলার কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার (১২মে) সুপার সাইক্লোন হয়ে উপকূলে আঘাত হানার কথা রয়েছে ঘূর্ণিঝড় অশনির। বরগুনাজেলা সহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে দুই নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধূরী বলেন, গভীর সমুদ্র উত্তাল থাকায় গতকালই (রোববার) বেশ কিছু ট্রলার নিরাপদে আসতে পেরেছে। এখন পর্যন্ত কয়েকশ ট্রলার সুন্দরবনসহ বিভিন্ন জায়গায় নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। তবে এখনো কিছু ট্রলার সাগরে রয়েছে সেগুলো ফিরে আসতে রওনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে জেলেদের সূত্রে জানা গেছে, ইলিশ প্রজননের ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে ২০ মে। চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত। শেষের দিকে কয়েকটি ট্রিপের জন্য জেলেরা সমুদ্রে ইলিশ শিকারে গেছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল হওয়ায় প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে টিকতে না পেরে নিরাপদ আশ্রয়ে তীরে ফিরে এসেছে জেলেরা।