বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)
এক সদস্যের গুলির কারণে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে দুই গরু ব্যবসায়ী ও আরেক
বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন। বিজিবির ওই সদস্যের দাবি, অসাবধানতায় চাপ লেগে
দুটি মিসফায়ার হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ মে ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নালিতাবাড়ী
উপজেলার নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের নিচপাড়া পাকা সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন বিজিবির ল্যান্স নায়েক মামুন মিয়া এবং দুই গরু ব্যবসায়ী
নালিতাবাড়ীর ম-লিয়াপাড়া গ্রামের মোশাররফ হোসেন ও ফুলপুর গ্রামের দুলাল
মিয়া।
গরু ব্যবসায়ীরা জানান, তারা শহরের গরুহাটিতে গরু বিক্রি করতে গেছিলেন।
কাক্সিক্ষত দাম না পাওয়ায় আবার সেগুলো নিয়ে ভটভটিতে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে
নালিতাবাড়ীর নিচপাড়া পাকা সড়কে হাতিপাগার বিজিবি ক্যাম্পের দুই সদস্য
সুবেদার হায়দার আলী ও ল্যান্স নায়েক মামুন মিয়া সাদা পোশাকে তাদের পথ
আটকান।
হায়দার তাদের গুলি করার হুমকি দেন ও রাইফেল তাক করেন। এরপর রাইফেল নামিয়ে
গুলি ছোড়েন। এতে তারা দুজন ও ল্যান্স নায়েক মামুন আহত হন। স্থানীয়রা
আহতদের নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
দুলাল বলেন, ‘আমি ব্যবসা করি মেলাদিন থাইক্কা। হাট থাইক্কা গরু ফেরত নিয়ে
বাড়ি যাওয়ার সময় আমগোর (আমাদের) ভটভটি থামাইয়া বিজিবির লোক আমগো গুলি
করছে। পোশাক ছাড়া কেন রাস্তা আটকাইয়া গুলি করল? আর বর্ডারও মেলা দূরে।
এলাকার ভেতরে ঢুইকা কেন গুলি করল আমগোরে?’
এ বিষয়ে হায়দার বলেন, ‘আমরা চোরাচালানের গরু ধরার জন্য আসছিলাম। পরে
তাদের আমি গাড়ি থামাতে বলি। তারা থামলে অসাবধানতার কারণে চাপ লেগে দুই
রাউন্ড মিস ফায়ার হয়ে গেছে।’
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ও বিজিবির
ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওসি
জানান, কেউ সরাসরি গুলিবিদ্ধ হয়নি। রাইফেলের নল মাটির দিকে ছিল। মিস
ফায়ার হয়ে পাথর ছিটকে ওই তিনজন আহত হয়েছেন। রাস্তাটি পিচের নয়, বড় বড়
পাথর দেয়া। এ ঘটনায় এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আমরা রাতেই গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। স্থানীয়
জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের ঘটনার বিষয়ে তদন্তের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। আমরা
জানার চেষ্টা করছি, আসল ঘটনা কী। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত
করে দুই দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’