নীলফামারীর ডিমলায় দোকানে তেল না রেখে বাড়ী ও গোডাউনে মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার অপরাধে মুকুল ষ্টোরের মালিক মোঃ সাইফুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে দুই দিনের মধ্যে মজুদ কৃত ৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেল নায্য দামে বিক্রির নির্দেশ দেওয়া হয়। বুধবার বিকালে ডিমলা শহরের মেডিকেল মোড়ে মুকুল ষ্টোরের মালিক সাইফুলের বাড়ী ও গোডাউন থেকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর নীলফামারীর বাজার তদারকি টিম অবৈধভাবে মজুদ প্রায় ৭ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর নীলফামারীর সহকারী পরিচালক মোঃ সামসুল আলম ও কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মোঃ এটিএম এরশাদ আলম খান এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ডিমলা থানা পুলিশ তাদের সহযোগীতা করেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন মুকুল ষ্টোরের মালিক তার দোকানে মাত্র কয়েকটি তেলের বোতল রেখে প্রায় ১ মাস থেকে বেশি দামে তেল বিক্রি করে আসছে। তার দোকানে তেল আনতে গেলেই বলে তেল নাই। জাহাঙ্গীর নামে এক ভুক্তভোগী জানান, ১৫৯ টাকা মুল্যের তেল তার দোকান থেকে দুইশত টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। পারভেজ নামে আরো এক ক্রেতা জানান, প্রতিদিন তার দোকানে ৫/৭ বোতল তেল থাকে। তেল আনতে দোকানে গেলে বলে তেল এখনো আসেনি। ফলে বাধ্য হয়ে বেশি দামে তার কাছ থেকে তেল কিনতে বাধ্য হই আমরা। বাজারের বড় দোকান হওয়ায় বেশিরভাগ কাষ্টমার তার দোকানেই আসে। আর তিনি তেল মজুদ রেখে আমাদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছেন। লেমন নামে এক ক্রেতা জানান শুধুমাত্র ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করলেই হবেনা। মজুদকৃত ৭ হাজার লিটার তেল জব্দ করাও উচিত ছিল ভোক্তা অধিদপ্তরের।