রাজশাহীর বাঘার জহুরুল ইসলাম মন্ডল (৩৪) নামের এক যুবকের শরীরে জড়ানো লোহার চেইনসহ যশোরের শার্শার পদ্মা নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ মে) বিকেলে তালা বদ্ধ লোহার চেইনসহ শার্শা থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। জহুরুল ইসলাম মন্ডল বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের ফজল মন্ডলের ছেলে। শনিবার জহুরুল ইসলাম মন্ডলের মরদেহে জড়ানো লোহার চেইনের সাথে ৫টিসহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জহুরুল ইসলামের স্ত্রী রাশিদা বেগম জানান, আমার স্বামী ২৪ মে আজমির শরীফে যাওয়ার কথা বলে লোহার তৈরি চেইন শরীরে পরে বাড়ি থেকে বের হয়। সেই চেইনে ৫টি তালা লাগানো ছিল। লোহার সেই চেইনটির ওজন ছিল প্রায় ২০ কেজি। এর আগে লোহার চেইন ব্যবহার করেনি। বছর খানেক আগে যশোরে কাজে গিয়ে একজন পীরের কাছে বায়াত গ্রহন করেন। তারপর থেকে লোহার চেইন ব্যবহার করতে শুরু করে।
জহুরুলের ভাই আমিরুল ইসলাম জানানা, ভাইয়ের মরদেহটি শার্শার পদ্মা নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয় নদীর পাড়ের মানুষ। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। তার কাছে থাকা ব্যাগের ভেতরে পরিচয় পত্র পায়। সেই পরিচয় পত্রে নাম ঠিকানা দেখে বাঘা থানায় খবর দেন। পুলিশ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমরা খবর পেয়ে লাশ বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন করা হয়েছে।
জহুরুল ইসলামের আরেক ভাই সেন্টু আলী জানান, দাফনের আগে তার গায়ে লাগানো সেই চেইনের তালা খুলা সম্ভব হয়নি। গায়ে লাগানো চেইনে ৫টি তালাসহ তাকে দাফন করা হয়েছে। তবে তার মৃত্যুর কারন জানাতে পারেনি।
জহুরুল ইসলামের সংসার জীবনে তার স্ত্রীসহ ২ মেয়ে রয়েছে। ছয় ভাই ও দুই বোনের মধ্যে জহুরুল ছিল ৬ নম্বর। জহুরুল এলাকায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।
পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ জানান, মরদেহ সনাক্ত করে বাড়িতে এনে আসর নামাজের পর জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মরদেহে পচন ধরে গন্ধ ছড়াচ্ছিল বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল করিম জানান, শার্শা থানা আমাদের অবগত করার পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে পরে তারা লাশ উদ্ধার করে এনে পারিবারিকভাবে দাফন করেন।