কালিগঞ্জে ওড়নার সাহায্যে গলায় ফাঁস দিয়ে মোহাসিনা মারিয়া (১৫) নামে এক মেধাবী শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
সে উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ডিআরএম ইউনাইটেড আইডিয়াল কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাসিন কবির এবং দেয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রেহানা পারভীনের মেয়ে। কালিগঞ্জ সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল মোহাসিনা মারিয়া।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আশীষ কুমার ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) বেলা ১ টার দিকে উপজেলা সদরের বাজারগ্রাম রহিমপুর গ্রামে অবস্থিত বাড়ির শয়নকক্ষের সিলিং ফ্যান থেকে মোহাসিনা মারিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরীর পর ময়তদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতে সবাই একসাথে নাস্তা করেন। এরপর মহাসিন কবির কলেজে এবং রেহানা পারভীন দুই মেয়েকে নিয়ে স্কুলে চলে যান। এ সময় মারিয়া ও তার দাদী বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মারিয়া'র ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখতে পান তার দাদী। অনেকবার ডাকলেও সাড়া মিলছিল না তার। পরবর্তীতে প্রতিবেশীরা দ্বিতল ভবনের কক্ষের পিছন দিকের একটি জানালা দিয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানে মোহাসিনা মারিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। এলাকায় অত্যন্ত ন¤্র, ভদ্র ও মেধাবী হিসেবে পরিচিত মোহাসিনা মারিয়ার আত্মহত্যার ঘটনায় শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।