বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী বিপথগামী তরুণ সমাজকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে কুমিল্লার হোমনায় চালু করা হয়েছে আলোর বাতিঘর ‘গণপাঠাগার’। বৃহস্পতিবার এলজিএসপি-৩ (বিবিজি) অর্থায়নে উপজেলার মাথাভাঙা, নিলখী, ঘারমোড়া, জয়পুর, ঘাগুটিয়া ও দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদে নির্মিত এই গণপাঠাগার উদ্বোধন করেন জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওসমান।
এই সব গণপাঠাগার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথি শওকত ওসমান বলেন, তরুণ সমাজ যাতে বিপথগামী না হয় তারুণ্যশক্তিতে কাজে লাগাতে হবে। তরুণকে সঠিকভাবে গাইড করতে হবে। আপনারা অনেকেই জানেন- তরুণদের অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে, সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গীবাদে সম্পৃক্ত হচ্ছে, কিশোর গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ছে। আমাদের অনেক ছাত্রীরা বাল্যবিয়ের স্বিকার হচ্ছে। এই সবগুলোই রাষ্ট্রকে পেছনে টানে। রাষ্ট্রকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা এই তরুণ সমাজকে ব্যবহার করব। তারা কেন রাষ্ট্রকে পেছনে টেনে ধরবে? তাদের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। বিপথগামী তরুণ সমাজকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনার জন্যই আলোর বাতিঘর এই গণপাঠাগার চালু করেছি।
বর্তমান সরকারের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ২১টি কাজের কথা বলা হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে তিনটি কাজ আমাদের স্থানীয় সরকার করে থাকে। এক নাম্বার ছিল আমার গ্রাম আমার শহর, দ্বিতীয়ত তারুণ্যের শক্তি- বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও তৃতীয়ত সুশাসন প্রতিষ্ঠা। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তারুণ্যের শক্তি-বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। আমাদের দেশের একটি বিশাল অংশ তরুণ সমাজ। এই তরুণ সমাজকে যদি আমরা সঠিকভাবে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি এবং পাঠক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাননির্ভর, মেধাবী ও বিজ্ঞামনষ্ক তরুণ সমাজ গড়ে তুলতে পারি তাহলেই আমাদের স্বপ্নের আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ উপহার দিতে পারবো।
এর আগে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বিজিসিসি (ব্লক গ্র্যান্ট কোঅর্ডিনেশন) সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমন দের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শওকত ওসমান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবগণ।