মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সোহাগী (১৩) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
কনে সোহাগী আক্তার গজারিয়া উপজেলার পোড়াচক বাউশিয়া গ্রামের বিশু মিয়া মেয়ে।
শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেরার বাউশিয়া ইউনিয়নের পোড়াচক বাউশিয়া গ্রামে
ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসের পেশকার মুক্তার হোসেন জানান, শুক্রবার দুপুরে বাউশিয়া ইউনিয়নের পোড়াচক বাউশিয়া গ্রামে একটি বাল্য বিয়ের আয়োজন করে কনের পক্ষের লোকজন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী স্যারের নির্দেশে থানা পুলিশ ফোর্সসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতে
ঘটনাস্থলে গিয়ে কন্যার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তার মেয়েকে বাল্যবিবাহ দিচ্ছেন বলে স্বীকার করে। পরে কনের বাবা কে ১৮ বছর আগে তার মেয়েকে বিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।
এবিষয়ে বাউশিয়া ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রধান, বলেন বাল্যবিবাহ কে আমি কখনো সমর্থন করি না। যারা প্রশাসনের এবং সরকারের নির্দেশ না মানে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।