বগুড়ার নন্দীগ্রামে আকাশে মেঘ জমলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ যে কখন যায়, আবার কখন আসে তার জানা নেই কারও। এদিকে ১৭ ঘন্টা পর বিদ্যুৎ পেল নন্দীগ্রামবাসী। এই উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়িত হওয়ার পড়েও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি বলে গ্রাহকরা অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, আকাশে মেঘ দেখা গেলেই চলে যায় বিদ্যুৎ। আর একটু ঝড়-বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেখা মেলে না বিদ্যুতের। বিদ্যুতের কোনো ঘাটতি না থাকলেও অদক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লাইন সম্পর্কে কোনো ধারনা না থাকায় লাইন সংস্কার করতে দীর্ঘ সময় লাগে বলে অনেক গ্রাহকেরই অভিযোগ। প্রতিদিন বিদ্যুতের অব্যবস্থাপনায় উপজেলায় ৫২ হাজার গ্রাহক ভোগ করছে বিদ্যুতের এই ভেলকিবাজি।
এদিকে গত শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলায় হালকা ঝড়-বৃষ্টি হয়। এতে করে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়, আসে পরদিন রোববার বেলা ১১ টার দিকে। বিদ্যুৎ কখন আসবে সে সংবাদ প্রদান নিয়েও অফিসের কর্তাব্যক্তিদের চলে লুকোচুরি খেলা। অফিস কর্তাদের ফোন করলে কেউ বলেন অপেক্ষা করুন। আবার কেউ বলে ট্রান্সফরমার বিকল। আবার কেউ বলেন সাব-স্টেশনে কাজ চলছে, আবার কেউ বলেন গ্রিড বন্ধ একটু পরেই পাবেন ইত্যাদি।
পল্লী বিদ্যুতের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং করাচ্ছেন বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীসহ সূধি সমাজের লোকজন। তাদের অভিযোগ, সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার পাশাপাশি আগামী নির্বাচন সামনে রেখে ইচ্ছাকৃতভাবে এ কাজ করা হচ্ছে। বিদ্যুতের এই লুকোচুরি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ব্যবসায়ী আরাফাত হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলে যায় বিদ্যুৎ। একবার আসে একবার যায়। কি করে ব্যবসা করবো। জানার জন্য বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।
এবিষয়ে বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নন্দীগ্রাম এড়িয়া অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বগুড়া গ্রিডে সমস্যা হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। তবে জরুরিভাবে মেরামতের কাজ চলছে। অচিরেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।