কুমিল্লার হোমনায় স্বাস্থ্যসেবার নামে বাণিজ্যিকহারে গড়ে উঠেছে একাধিক অনিবন্ধিত ও নবায়নবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ল্যাব, ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে এসব বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এতে উপজেলার দুইটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ, একটি এক্স-রে ক্লিনিককে আর্থিক জরিমানা এবং একটি হাসপাতালকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। বাকীরা অভিযানের খবর পেয়ে তাদের কর্যক্রম বন্ধ করে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।
রোববার বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান। এ সময় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীসহ সঙ্গে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পলিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মুহাম্মদ বায়েজিদ উল্লাহ ও ভূমি অফিসের নাজির জনাব মো. মোস্তফা কামাল।
অভিযানে লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনার দায়ে উপজেলা সদরের খিদমাহ ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জনসেবা হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার (প্রস্তাবিত) বন্ধ, ঘারমোড়া বাজারের হাড়ভাঙা এক্স-রে ক্লিনিককে পনেরো হাজার টাকা জরিমানা এবং উপজেলা সদরের মদিনা আই এ- জেনারেল হাসপাতাল কতৃপক্ষকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। অভিযানের খবর পেয়ে পৌরসভায় অবস্থিত হোমনা মডার্ন হসপিটালসহ বাকীরা বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান বলেন, অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে লাইসেন্স না থাকায় উপজেলার দুইটি হসপিটাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ এবং একটি হাড়ভাঙা এক্স-রে ক্লিনিককে পনেরো হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার বলেন, উপজেলায় দশটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও পাঁচটি ক্লিনিক রয়েছে। এদের মধ্যে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযান চলবে।